free tracking

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বলতে বলতে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান!

বড় ছেলে হাসিবুর রহমান খানের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই— এ কথা বলতে বলতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ মাস দেখা নেই জানিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।

এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। পরে তার উপস্থিতিতে ১০টা ৮ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা বলেন, শাজাহান খান আটবারের সংসদ সদস্য ও দুই বারের মন্ত্রী ছিলেন।

তিনি ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। এর আগে তাকে দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার বয়স ৭৬ বছর। রোজার মধ্যে রিমান্ডে নিলে হয়রানি হবে, ফের অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।

রিমান্ড শুনানি চলাকালে ১০টা ২৭ মিনিটে শাজাহান খান বলেন, ‘মাননীয় আদালত আমি কথা বলতে চাই।’ পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি জড়িত না। কেন এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।’ তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই।’ এ সময় বিচারক বলেন, ‘আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন।’ তবু শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান। তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার কথা শুনতে হবে, আমাকে একটু সময় দেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১০টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়।

হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলছে কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারা জীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাব। পরে হাসতে হাসতে তিনি হেঁটে হাজতখানায় যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *