রমজান মাসে রোজা পালন করা মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বিষয় হলো—ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড। রোজা অবস্থায় পিরিয়ড শুরু হলে কিংবা পিরিয়ড শেষ হলে কী করণীয়, তা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তিতে থাকেন।
রোজা অবস্থায় পিরিয়ড শুরু হলে
রোজারত অবস্থায় যদি কোনো নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গেই তার রোজা ভেঙে যাবে। এ অবস্থায় রোজা রাখা হারাম। তবে অন্যদের সামনে প্রকাশ্যে পানাহার না করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
পিরিয়ড শেষ হলে করণীয়
রমজানের দিনে যদি কোনো নারী পিরিয়ড থেকে পবিত্র হয়ে যান, তবে সেই দিনটি পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। যদিও তার রোজা হবে না, তবে পরবর্তীতে ওই রোজাটি কাজা করতে হবে।
যদি সুবহে সাদিকের আগেই পিরিয়ড শেষ হয়, তবে সেদিন রোজা পালন আবশ্যক। গোসলের জন্য সুবহে সাদিকের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও রোজা শুদ্ধ হবে। ঠিক যেমন গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় রোজা শুরু করা যায়।
ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখা
আধুনিক যুগে অনেক নারী ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে রোজা রাখতে চান। এভাবে রোজা পালন করলে তা শুদ্ধ হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকলে এমন পদক্ষেপ না নেয়াই ভালো।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, পিরিয়ড অবস্থায় নারী নামাজ ও রোজা পালন করতে পারবেন না। তবে পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর রোজার কাজা করা আবশ্যক। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, “তারা আপনাকে হায়েজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীদের নিকটবর্তী হয়ো না।” (সুরা বাকারা : ২২২)
Leave a Reply