free tracking

আছিয়ার বোন পার্ট অফ দা ক্রা’ইম, নীলনকশা প্রমাণসহ ফাঁস করলেন পিনাকী

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, সম্প্রতি ধর্ষণ ইস্যুকে ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার নীলনকশা করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।

রোববার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তথ্যপ্রমাণ সহকারে তুলে ধরেন তিনি। সিপিবির কাঁধে ভর করে সরকার পতনে কিভাবে ষড়যন্ত্রের মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করেন পিনাকী।‘‘একইভাবে আছিয়ার ধর্ষণ এবং মৃত্যুকে উইপনাইজ (হাতিয়ার) করতেছে আওয়ামী লীগ। করতেছে এই সিপিবি ছাত্র ইউনিয়ন এদেরকে দিয়া। ধর্ষককে গ্রেফতার করছে। দ্রুত বিচারের জন্য মামলা করছে। বামের আর কি চায় ওরা বলুক। আর কি চায় বলতে পারবে না। আছিয়ার ধর্ষণ কেন হইলো? এখন তো আছিয়ার মারে আর বাবারে ধরতে হয় যে কেন ওই মাইয়ারে বিয়া দিছো কেন ওই বাসায়’’ বলেন পিনাকী।

এবার তিনি আসিয়ার ঘটনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার বোনের অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সে সম্ভাব্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে- এমন বিষয় তিনি তুলে ধরেন। আছিয়ার বোনের স্টেটমেন্টে ঘটনা নিয়ে দুই-তিন রকম এবং সাংঘর্ষিক যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

আছিয়ার বোন পার্ট অফ দা ক্রাইম, নীলনকশা প্রমাণসহ ফাঁস করলেন। পিনাকী আছিয়ার বোনের অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য উল্লেখ করে এটা মেটিকুলাস প্ল্যান ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। আর এই ইস্যু দিয়ে প্রফেসর ইউনূসকে ফেলায় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য, আছিয়ার বোন জানিয়েছেন, “আমার শাশুড়ি মনে হয় আমার খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। কারণ, আমি কিছুই বুঝতে পারিনি।”—বেদনাদায়ক এই স্বীকারোক্তি আছিয়ার বোনের, যার চোখের সামনে এক নিষ্পাপ প্রাণ নিঃশেষ হয়ে গেল।

রাতের বেলায় তিনজন একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে সব বদলে গেল, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। রাত আটটার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু ফজরের কিছু আগে উঠে দেখেন—দরজা খোলা, আর বোনটি নিথর হয়ে পড়ে আছে। “আমি বাথরুম থেকে ফিরে দেখি ও পড়ে আছে। দরজা দিয়ে ওকে খাটের পাশে রাখলাম।তখনো বুঝিনি কী ভয়াবহ কিছু ঘটে গেছে। কিছুক্ষণ পর ও কষ্টে কাঁদতে শুরু করে, বলে—‘আপু, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমার শরীর জ্বালাপোড়া করছে।’” তখনো তিনি ভাবছিলেন, হয়তো পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে, তাই ঘুমাতে বলেছিলেন।

কিন্তু সকালে বুঝতে পারলেন, আসল ঘটনা আরও ভয়ংকর। “ওর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাচ্ছিল, হাত-পা শক্ত হয়ে আসছিল। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হয়েছে?’ ও বলল—‘তারা আমার সাথে এটা করেছে।’ আমি তখনও কিছু বুঝতে পারিনি, কারণ আমাকেও ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *