free tracking

দাড়ি ছোট করা কি হারাম? ৯০% মানুষ ভুল বুঝে!

দাড়ি ছোট করে রাখা এবং তা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করার বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কী—এমন প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, দাড়ি লম্বা করা নবী করীমের (স.) সুস্পষ্ট নির্দেশ।

তিনি উল্লেখ করেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা দাড়ি বড় করো, দাড়ি ছেড়ে দাও। সাহাবিদের মধ্যে কেউ কেউ এক মুষ্টির বেশি অংশ কাটার বিষয়ে আমল করেছেন, যা বুখারী শরীফে উল্লেখ রয়েছে। তবে এক মুষ্টির আগে দাড়ি কাটার কোনো অনুমতি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, সারা বিশ্বের প্রায় সব ওলামায়ে কেরামের একমত যে দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব। যদিও কিছু সংখ্যক আরব আলেমের ভিন্নমত রয়েছে, তবে অধিকাংশ আলেম দাড়ি লম্বা করাকে ওয়াজিব হিসেবে গণ্য করেছেন।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, দাড়ি রাখা সুন্নত এই অর্থে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে দাড়ি রেখেছেন। তবে যখন তিনি দাড়ি লম্বা করার নির্দেশ দিয়েছেন, তখন এটি ওয়াজিব হয়ে যায়। ফলে, কেউ যদি মনে করে দাড়ি না রাখলে কোনো সমস্যা নেই, তবে সেটি সঠিক ধারণা নয়। একজন মুসলমানের জন্য নবীর নির্দেশ উপেক্ষা করা অবশ্যই সমস্যার বিষয়, এবং কেয়ামতের ময়দানে এ বিষয়ে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।

তবে তিনি আরও বলেন, যদি কেউ দাড়ি রাখা শুরু করে, এমন ব্যক্তিকে উৎসাহিত করা উচিত এবং ধাপে ধাপে দাড়ি লম্বা করতে পরামর্শ দেওয়া উচিত।
Ezoic

একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব হলেও ইসলামের ফরজ বিধানগুলো মানার গুরুত্ব আরও বেশি। কেউ যদি দাড়ি রাখে কিন্তু ফরজ বিধানগুলো লঙ্ঘন করে, তবে সেটি শরীয়তের দৃষ্টিতে গৃহীত নয়।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামের বিধান পরিপূর্ণভাবে পালন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। আল্লাহ যেন সবাইকে পরিপূর্ণভাবে দ্বীনের পথে পরিচালিত করেন—এই দোয়া করেন তিনি।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=5itgESTpTis

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *