free tracking

হানি ট্র্যাপে ভারতের রাজনীতিবিদরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী হানি ট্র্যাপের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ, যার ফলে তারা হারাচ্ছেন নিজস্ব সম্মান, সম্পদ এবং আরও অনেক কিছু। এই হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের সম্মান ও পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মন্ত্রী কে এন রাজান্না সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, রাজ্যে প্রায় ৪৮ জন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী এবং এমপি হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, অনেক রাজনীতিবিদ হোয়াটসঅ্যাপে কল বা বার্তা পেয়ে এই ফাঁদে পড়েছেন, যা প্রায় ছয় মাস ধরে ঘটছে। এমনকি তার ছেলে, আইনসভার সদস্য রাজেন্দ্রও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। গণপূর্তমন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি বলেন, হানি ট্র্যাপের চেষ্টা নতুন কিছু নয়, এবং এটি রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

হানি ট্র্যাপ হল এক ধরনের প্রলোভনমূলক কৌশল, যেখানে কাউকে যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে গোপন তথ্য বা অন্য কোনো স্বার্থসিদ্ধি করা হয়। এটি সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যেমন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা গোয়েন্দাদের লক্ষ্য করে হয়। এই কৌশলটি প্রথম ব্রিটিশ-আইরিশ লেখক জন লে ক্যারের ১৯৭৪ সালের উপন্যাসে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ‘প্রেম বা ভালোবাসার ফাঁদ’ হিসেবে এর উল্লেখ ছিল।

এটা মূলত ব্ল্যাকমেইলিং বা প্রলোভন দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা সাম্প্রতিক সময়ে নানা ক্ষেত্রে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *