free tracking

ত্বক ড্রাই নাকি ডিহাইড্রেটেড, বুঝবেন যেভাবে!

ড্রাই স্কিনে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সেবাম কম উৎপন্ন হয়। এই সেবাম ত্বকের ময়েশ্চার লক করে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত

সবার ত্বক এক রকম নয়। কারোর স্কিন ওয়েলি কারোর আবার ড্রাই কিংবা কম্বিনেশন অথবা ডিহাইড্রেটেড। ত্বকের যত্ন ধরনভেদে নিতে হয়। অনেকেই ড্রাই স্কিন এবং ডিহাইড্রেটেড স্কিনের এই দুটোকে মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। তবে দুটোর ধরণ একেবারেই আলাদা। শুনলেই বোঝা যায়, ‘ড্রাই স্কিন’ মানেই ত্বকের শুষ্কতা এবং ‘ডিহাইড্রেটেড’ বলতে বোঝায় পানির অভাব। যদিও শব্দ দুটি কাছাকাছি মনে হয়, আসলে এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্পষ্ট পার্থক্য।

ড্রাই স্কিনে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সেবাম কম উৎপন্ন হয়। এই সেবাম ত্বকের ময়েশ্চার লক করে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে সেবামের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অন্যদিকে, ড্রিহাইড্রেটেড কোনো ত্বকের ধরন নয়; এটি একটি সাময়িক অবস্থা। ত্বকে প্রয়োজনীয় পানি না থাকলে এটি ঘটে। যেকোনো ধরনের ত্বক ডিহাইড্রেটেড হতে পারে। টাইমস নাওয়ের এক প্রতিবেদনে এই বিষয়টা বিস্তারিত জনাইয়েছেন ডার্মাটোলজিস্ট যমুনা পাই। আপনার ত্বক ড্রাই নাকি ডিহাইড্রেটেড, তা বোঝা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। তাই দুটির লক্ষণ ও যত্ন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ড্রাই স্কিনের লক্ষণ

ত্বক খসখসে ও রুক্ষ দেখায়।
প্রায়ই চুলকানি হতে পারে।
ত্বকে প্যাচিনেস, সাদা দাগ বা ইরিটেশন দেখা দেয়।
চোখের নিচে ফাইন লাইনস বা বয়সের ছাপ দ্রুত দেখা যায়।
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে চামড়া উঠতে পারে।
মেছতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ড্রাই স্কিনের যত্ন

ফেস ওয়াশ ও স্ক্রাব নির্বাচন: যেসব ফেস ওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক ওভারড্রাই হবে না এবং এতে ময়েশ্চারাইজিং থাকবে সেসব নির্বাচন করুন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে প্রতিদিন ক্রিম বেসড বা লং-লাস্টিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ফেস মাস্ক লাগানো: মধু ও ওটমিল দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ:রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অয়েল ম্যাসাজ:ন্যাচারাল অয়েল, যেমন জোজোবা অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল রাখে।

মধু ও ওটমিল দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।

ডিহাইড্রেটেড স্কিনের লক্ষণ

ত্বক টান টান লাগে।
নিষ্প্রাণ ও মলিন দেখায়।
গালে হালকা চাপ দিলে ত্বক আগের অবস্থায় ফিরতে সময় নেয়।
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল ও ফাইন লাইনস দেখা দেয়।
ডিহাইড্রেটেড স্কিনের যত্ন

মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার:কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে হাইড্রেটিং টোনার বা রোজ ওয়াটার ব্যবহার করুন।
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার: এটি ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
ফেস মিস্ট ও শিট মাস্ক ব্যবহার:ইনস্ট্যান্ট হাইড্রেশন পেতে ফেস মিস্ট বা শিট মাস্ক ব্যবহার করুন।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার: স্নেইল মিউসিন, মধু, অ্যালোভেরা, গ্লিসারিন, ল্যাকটিক অ্যাসিড বা দুধ ব্যবহার করলে ডিহাইড্রেটেড স্কিনের যত্ন নেয়া যায়।
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক যত্ন নিন এবং ত্বককে রাখুন সুস্থ ও উজ্জ্বল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *