সম্প্রতি ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রযুক্তি “গ্রোক থ্রি” দ্বারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সূত্রপাত একটি অনলাইন প্রতিবেদনের মাধ্যমে, যা দাবি করছে গ্রোক থ্রি নামক এআই চ্যাটবট নরেন্দ্র মোদির জীবনের বিভিন্ন অজানা তথ্য উন্মোচন করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রোক থ্রি মোদিকে ভারতের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তার উচ্চশিক্ষার সঠিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যদিও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালে মোদির বিএ পাসের ডিগ্রি নিশ্চিত করেছিল, তবে কিছু রেকর্ডে ‘গড়মিল’ থাকার দাবি করা হয়েছে। এমনকি মোদি তার শিক্ষাগত ডিগ্রির বিষয়টি প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় ইউটিউবার ধ্রুবরাঠি।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে ভুয়া খবর বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তাদের মতে, ইলন মাস্কের এআই প্রযুক্তি দ্বারা প্রদত্ত এই তথ্যে কোনো সত্যতা নেই এবং এটি শুধু বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে।
তবে, গ্রোক থ্রি তার অবস্থানে অনড় রয়েছে। চ্যাটবটের দাবী, তার তথ্যসমূহ গবেষণালব্ধ এবং সত্যতা যাচাইয়ের পর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক মাধ্যম এক্স (পূর্বের টুইটার) এ মোদির প্রায় ১০ কোটি ফলোয়ারের মধ্যে ৬০ শতাংশই ভুয়া। এই তথ্য নিয়ে ভারতের বিরোধী দলগুলোও সরব হয়েছে।
বিজেপি কি এই তথ্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে নাকি এই ফাঁস হওয়া তথ্য দল ও নেতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে, তা সময়ই বলে দেবে।
Leave a Reply