ব্রাশ করার পরও অনেকের মুখ থেকেই দুর্গন্ধ বের হয়। নিয়মিত দুই বেলা ব্রাশ করার পর মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে অফিসের সহকর্মী, বন্ধুমহল কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে আড্ডা দেয়াটা খুবই অস্বস্তিকর মনে হয়। কেননা, মন খুলে কথা বলতে না পারলে কিংবা একটু হাসতে না পারলে কী আর হয়।
অনেকের ধারণা ব্রাশ করলেই দুর্গন্ধ দূর হবে। এটা ভুল ধারণা। ব্রাশ করলে সাময়িকভাবে দুর্গন্ধ দূর হয়। তবে নানা কারণেই দুর্গন্ধ হতে পারে মুখে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক, কেন মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং এর সমাধান কী।
দাঁতের সমস্যা: মুখে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়ার এই সমস্যাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘হ্যালিটোসিস’ বলাহয়। মূলত কম পানি পান, পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
লালার অভাব: মুখের ভেতর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ লালা তৈরি না হয়, তাহলে একে ‘ড্রাই মাউথ’ বলা হয়। এ অবস্থায় শরীর নিজ থেকে মুখের ভেতর পরিষ্কার করতে পারে না। খাবার খাওয়ার পর খাবারের কণা মুখের ভেতর থেকে যায়, সেসব থেকেই দুর্গন্ধ হয় মুখে। ডিহাইড্রেশন, তামাক সেবন, কফি বা অ্যালকোহল গ্রহণ, শুকনো ও মশলাদার খাবার খাওয়ার কারণে মুখের ভেতর শুষ্ক হতে পারে।
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি: শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দেখা দিলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে থাকে এবং মুখের ভেতর এক ধরনের ক্ষত দেখা দেয়। ক্ষত থেকে মুখে সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়া জীবাণু সংক্রমণসহ একাধিক ক্ষতের কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি: শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। যা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজনীয় এই ভিটামিন না থাকলে দাঁতের একাধিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
সাইনাসের সংক্রমণ: সাইনাসের সমস্যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ সমস্যা থাকলে নাক বা মুখ দিয়ে গাঢ় হলুদ বা সবুজ রঙের মিউকাস বের হয়। যা থেকে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
টনসিল স্টোন: টনসিল স্টোনের জন্য মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। টনসিলের উপর খাবার জমে টনসিল স্টোন তৈরি হয়। এ কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।
Leave a Reply