free tracking

সরকারি স্কুলের ন’জন শিক্ষিকাকে এক যুবকের বিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্য!

ভারতের উত্তর প্রদেশের সোন ভদ্রের এক যুবকের লক্ষ্য ছিল সরকারি চাকুরীজীবী মহিলাদের বিয়ে করা।তারপর তাদের নামে ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করা। বেছে বেছে সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদেরই তার শিকার বানানো শুরু করেন। যা নিয়ে দেশটিতে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।

সম্প্রতি এক শিক্ষিকা দেশটির পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশকে জানান, তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, তাঁর নামে ব্যাংক থেকে ৪১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। আর সেই টাকারও কোনও হদিস মিলছে না। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে বিষয়টি নিখোঁজের মামলা বলে সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত এগোতেই দেখা যায়, এটি নিখোঁজের কোনও মামলাই নয়। পুরোটাই একটি চক্র এবং প্রতারণার ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক নিজেকে রাজন গহলৌত বলে পরিচয় দিতেন শিক্ষিকাদের কাছে। একটি বড় সংস্থার বড় পদমর্যাদার আধিকারিক বলেও নিজেকে তাদের কাছে পরিচয় দিতেন। এ ভাবেই শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তার পর তাদের বিয়ে করতেন। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষিকাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতেন।

তারপর নানা বাহানায় শিক্ষিকাদের নামে ব্যাংক থেকে কখনও ২০ লক্ষ, কখনও ৩০ লক্ষ, কখনও আবার ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতেন। সেই টাকা হাতে পেতেই উধাও হয়ে যেতেন। রাজনের শেষ শিকার ছিল সোনভদ্রের এক শিক্ষিকা। সেই শিক্ষিকাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোনভদ্রের ওই শিক্ষিকাই শুধু একা নন, এ রকম আরও আট শিক্ষিকাকে আগে বিয়ে করছেন ওই যুবক। তারপর তাদের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে পালিয়ে যেতেন। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *