ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ১২ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকারের নির্দেশনায় চলতি বছর থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী কেউ হজ পালন করতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত হজ মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে জানানো হওয়ায়, অনেকেই বিপাকে পড়েছেন, কারণ অনেকেই ১৫ বছরের নিচে সন্তানসহ ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত নিবন্ধন করে ফেলেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তের কারণে যাঁরা ১৫ বছরের নিচে নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দুইটি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। প্রথমত, তাঁরা তাদের হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। অর্থাৎ, যদি তাঁরা হজে যেতে না চান, তবে তাদের স্থলে অন্য কাউকে পাঠানো যাবে। দ্বিতীয়ত, যদি কোনো প্রতিস্থাপন পাওয়া না যায়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জমা দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই নির্দেশনা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ২০ মার্চ জারি করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপসচিব মামুন আল ফারুক বলেছেন, “এটি সৌদি সরকারের নির্দেশনা, যা আমাদের অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।” তিনি আরও জানান, ১৫ বছর বয়সী নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী ও তার সঙ্গে যাওয়া অভিভাবকের নিবন্ধনও পরিবর্তন বা বাতিল করা যেতে পারে।
এছাড়া, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। সেই অনুযায়ী, হজযাত্রীর পাসপোর্টের জন্মতারিখ থেকে এই বয়স গণনা করা হবে।
যে সকল হজযাত্রী এই নতুন নিয়ম মেনে হজে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের অবশ্যই প্রাক নিবন্ধন করতে হবে। যেহেতু এই সিদ্ধান্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক, তাই হজযাত্রীরা তাদের এজেন্সি থেকে বিস্তারিত তথ্য নিতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, যেসব নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী হজে যেতে অপারগ, তাদের পিতা-মাতা বা অভিভাবকও চাইলে তাদের টাকা ফেরত নিতে পারবেন, অথবা অন্য হজযাত্রীর মাধ্যমে তাদের জায়গা প্রতিস্থাপন করা যাবে।
Leave a Reply