২০২৪ সালের ৬ আগস্টের বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত রুদ্ধশ্বাস এবং উত্তেজনাপূর্ণ। এর মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করার প্রসঙ্গ, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আসিফ স্যার ও অন্যান্য নেতারা জানান, এই বৈঠকে বেশ কিছু নাম প্রস্তাব করা হয়, তবে সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের প্রাথমিক পর্যায়ে সেনাবাহিনী কিছু নাম প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগই অযোগ্য হিসেবে খারিজ হয়ে যায়। সেখান থেকে মাত্র একটিই নাম শেষ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়, আর তা ছিল সেনাবাহিনীর প্রস্তাবিত একজন নাম। তবে, সেনাবাহিনীর প্রস্তাবিত নামগুলো বেশ কিছু কারণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, বিশেষ করে তাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং তাদের আওয়ামী লীগ অথবা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে।
বৈঠকের পর, ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেনাপ্রধানও বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন, যদিও তিনি প্রথমে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এর পেছনে মূল যুক্তি ছিল, ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাঁর অপরাধী অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চিত্র। কিন্তু, অবশেষে রাষ্ট্রপতি ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করার ঘোষণা দেন।
আসিফ এবং অন্যরা স্পষ্ট করে জানান যে, তারা কোনভাবেই এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটবেন না। তারা জানান, যদি রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করেন, তাহলে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে জনসম্মুখে প্রতিরোধ ঘোষণা করা হবে।
কারণ এই বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির ঘোষণা অনুসারে, ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়।
Leave a Reply