পাসপোর্ট সেবা সহজতর করতে এবং গ্রাহকদের হয়রানি কমাতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বর্তমানে, পাসপোর্টের জন্য আবেদন, দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রিইস্যুর আবেদন, ভিসা আবেদনসহ সব ধরনের পাসপোর্ট এবং ভিসাকেন্দ্রিক আবেদন সঠিকভাবে পূরণের জন্য এজেন্সি বা ভেন্ডর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্সি বা ভেন্ডররা গ্রাহকদের নির্দিষ্ট ফি নিয়ে এই আবেদনগুলো পূরণ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে অবস্থিত অফিস থেকে এসব সেবা প্রদান করবেন। তাদের বিরুদ্ধে যদি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা বা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পাসপোর্ট কেন্দ্রিক সব ধরনের আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করা এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদানকে আরও কার্যকরী করা।
এছাড়া, নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে, গ্রাহকরা ঘরে বসেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং পাসপোর্টের ফি অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য শুধু ছবি, চোখের আইরিশ এবং ১০ আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে পাসপোর্ট অফিসে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা কারণে, পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনও এখন আর বাধ্যতামূলক নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নির্দেশনায়, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে।
বর্তমানে, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) গ্রাহকদের সময়মতো পাসপোর্ট প্রদান নিশ্চিত করতে, সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিসের আওতায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করতে সক্ষম হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে এবং সেবা প্রক্রিয়া দ্রুত হয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার পাসপোর্ট সেবা প্রক্রিয়াকে আরো সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
Leave a Reply