সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ করছেন গ্রাহক ও ব্যবহারকারীরা। প্রতি মাসে অনাকাঙ্ক্ষিত বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাদের। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে অভিযোগ, সমালোচনা ও বিতর্কের শেষ নেই। তবে বিলের টাকা গুণতে অতিষ্ঠ হলেও কখনো কি নিজে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনের কথা ভেবে দেখেছেন?
নিজে সচেতন হলে সহজেই বিদ্যুৎ বিল কমানো যায়। এ জন্য প্রয়োজন কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা। সম্প্রতি ভারতের একটি গণমাধ্যম এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বিদ্যুৎ বিল কমানোর পদ্ধতিগুলো নিয়ে বলা হয়েছে। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
প্রয়োজন শেষে ইলেকট্রনিক গেজেটসের প্লাগ খুলে ফেলা: যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার শেষে হলে তার প্লাগ সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজন শেষ হওয়ার পরও গেজেটগুলো স্ট্যান্ড বাই মোডে রাখা হয়। আবার কোনো বাতি, ফ্যান, টেলিভিশন ও কম্পিউটারের প্লাগ লাগানো থাকে। এতে বিদ্যুতের খরচ হয়। এদিকে যদি নজর না দিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই নড়াচড়া দিয়ে বসুন।
নিয়মিত মিটার পরীক্ষা করা: বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কয়েক দিন পরপর মিটার পরীক্ষা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বিদ্যুতের ইউনিট বেশি পরিমাণে খরচ হয়, তাহলে সতর্ক হোন এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করুন।
বৈদ্যুতকি সরঞ্জামাদির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা: বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি যেমন―ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, রুম হিটার, রাইস কুকার, এসিসহ অন্যান্য ব্যবহারের জিনিস নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি প্রয়োজন। এতে যেমন বিদ্যুৎ বেশি খরচের কারণ জানা যায়, একইসঙ্গে বৈদ্যুতিক কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এসব পণ্যে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি থাকলে বিল বেশি আসা স্বাভাবিক।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করা: বিল কমানোর কার্যকর উপায় হচ্ছে বিদ্যুৎ সাশ্রীয় ইলেকট্রনিক পণ ব্যবহার করা। পুরনো বাতি বদলে এলইডি বাতি ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ অনেক কম খরচ হয়। রেফ্রিজারেটর ও এসির মেশিন ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পন্ন সামগ্রী ব্যবহার করুন। আয়রন মেশিন কেনার আগে স্বয়ংক্রিয় পাওয়ার সিস্টেম থাকা পণ্যটি নিন। এতে প্রয়োজনের বাইরে যন্ত্রটি বিদ্যুৎ নেবে না এবং আপনার খরচও কমে আসবে।
সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা: বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ থাকা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ও ভাবনাহীন। এতে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ স্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খরচ কিছুটা বেশি হবে। তবে এতে দীর্ঘমেয়াদি সুফল উপভোগ করতে পারবেন। আবার লোডশেডিংয়েরও ভাবনা নেই। ফ্যান, রেফ্রিজারেটর, এসি, কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ প্রয়োজনীয় সবই ব্যবহার করতে পারবেন সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। এতে মাসে মাসে বিদ্যুৎ বিল দেয়ারও চিন্তা নেই গৃহকর্তার।
Leave a Reply