জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন সম্প্রতি সেনাপ্রধান ও দুজন ছাত্রনেতার সাক্ষাৎ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তার মতে, সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের সাক্ষাৎ কোনো সরকারি কিংবা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না, বরং এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। তিনি বললেন, ‘‘এটা কোনো অফিসিয়াল আলোচনার অংশ ছিল না, এবং এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠছে যে কেন সেনাপ্রধান এই দুই নেতার সঙ্গে বসলেন।’’
তাজনূভা আরও বলেন, ‘‘এই সাক্ষাৎ এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।’’ তিনি মন্তব্য করেন যে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশেষত গণঅভ্যুত্থান ও বর্তমান সরকারকে পুনর্বাসন করার প্রক্রিয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যে দুর্নীতি এবং অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে, তা বিচারবহির্ভূতভাবে উপেক্ষিত রয়েছে।
তার ভাষায়, ‘‘আমরা গণঅভ্যুত্থান দেখে এক নতুন দিশায় যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সাত মাসের মধ্যেই সেই আন্দোলন যেন পিছিয়ে পড়েছে।’’ তিনি উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় সেনাবাহিনীর অনেক জুনিয়র অফিসারও জনগণের পক্ষে ছিল এবং তাদের কথাবার্তা ছিল গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে। তবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়েছে, এবং এর প্রভাব দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাপকভাবে পড়েছে।
তাজনূভা আরো বলেন, ‘‘আজও যখন আমরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কথা শুনি, তখন তা খুবই দুঃখজনক লাগে। এমনকি, গত সাত মাসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।’’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশে যে ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চলছে, তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং সেখান থেকেই দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
অপরদিকে, তিনি বিশেষভাবে এও বলেন, ‘‘আমরা বলছি, যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হয়, ততদিন তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে না।’’
তাজনূভা জাবীন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে, যদি বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকে, তবে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা অসম্ভব। তিনি এই কথাটি আরও শক্তভাবে তুলে ধরেন যে, ‘‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যেগুলোর বিচার হওয়া প্রয়োজন।’’
Leave a Reply