free tracking

আয়েশাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে সাধনার কমতি ছিলো না তামিমের!

ক্রিকেটার হতে তামিম ইকবালের যতটুকু সাধনা করতে হয়েছে, তার চেয়ে কম সাধনা ছিলো না স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে পেতে। আর এই আয়েশা সিদ্দিকাই এখন তামিমের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন সবার আগে। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অষ্টম বছরে গিয়ে পূর্ণতা পায় তামিম-আয়েশার কৈশোরের প্রেম। রোমাঞ্চকর ওই আট বছরের গল্প যেন সিনেমার কাহিনীর চেয়ে কম নয় কোনো অংশেই।

তামিম ইকবাল খানের মতোই চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা। ভালোবেসে তিনি ঘর বেঁধেছেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের সঙ্গে।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে আয়েশার প্রেমে পড়েছিলেন তামিম, এক বন্ধুর মাধ্যমেই দেন প্রেমের প্রস্তাব। তামিম তখন উদীয়মান ক্রিকেটার, প্রথমে পাত্তা পাননি আয়েশার। আয়েশা বয়সে ছোট ছিলেন, পরিবারের কেউ যদি কিছু বলে, তাই ফিরিয়ে তিনি দিয়েছিলেন তামিমকে।

পরবর্তীতে অবশ্য তামিমের প্রস্তাবে সম্মতি দেন আয়েশা। চুটিয়ে প্রেম করার মতো খুব সময় ছিল না তাদের। দুজনের মাঝে ছিল লম্বা দূরত্ব। আয়েশা ক্রিকেটের তেমন ভক্ত নন, তার পছন্দ ফুটবল।

১৮ বছর বয়সে বড় বোনের সঙ্গে মালয়েশিয়া পড়তে যান আয়েশা। আয়েশার বাইরে যাওয়ার সময় জাতীয় দলে সুযোগ পান তামিম। তামিমও আয়েশার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন মালয়েশিয়ায়।

মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়েশা স্নাতক সম্পন্ন করে দেশে ফেরে, ২০১৩ সালের জুন মাসে চট্টগ্রামে বিশাল অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন তামিম-আয়েশা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের নামী তারকারা, ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও।

আয়েশা কিন্তু তামিমকে ভালবেসেই ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটকে বেশি ভালবেসে ফেলেছেন। তামিম ও আয়েশার এক পুত্রসন্তান ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তামিম বলেন, আয়েশার মতো স্ত্রী পেয়ে তিনি সত্যিই ভাগ্যবান।

সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/15xJqE1FyD/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *