পোষা প্রাণী মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে সাধারণভাবে মনে করা হলেও, সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা বলছেন, পোষা বিড়াল কিছু নির্দিষ্ট মানসিক রোগের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টক্সোপ্লাজমোসিস নামক একটি পরজীবী সংক্রমণ, যা সাধারণত বিড়ালের মাধ্যমে ছড়ায়, মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরজীবী মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপর প্রভাব বিস্তার করে উদ্বেগ, হতাশা এবং এমনকি স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক দীর্ঘমেয়াদী এক গবেষণায় দেখতে পান যে, যেসব ব্যক্তির ছোটবেলা থেকে বিড়ালের সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা হয়েছে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, টক্সোপ্লাজমা সংক্রমিত ব্যক্তিদের আচরণগত পরিবর্তন ঘটতে পারে, যেমন— বেশি রিস্ক নেওয়ার প্রবণতা, উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি, বা আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, টক্সোপ্লাজমা সংক্রমণ গর্ভের শিশুর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
যদিও বিড়াল পোষার কিছু ঝুঁকি রয়েছে, তবে গবেষণায় এটিও বলা হয়েছে যে বিড়াল মানুষের মানসিক প্রশান্তি ও একাকীত্ব দূর করতেও সাহায্য করে। তাই, যথাযথ যত্ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
Leave a Reply