অনেকের ধারণা স্ট্রোক শুধু বয়স্কদের হয়। এটা একটা ভুল ধারণা। বর্তমানে কম বয়সীদেরও অনেক স্ট্রোক হচ্ছে। স্ট্রোকে মৃত্যুঝুঁকি থাকে। আর যারা স্ট্রোক করার পরেও বেঁচে যান, তাদের পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে। অল্প বয়সীদের স্ট্রোক হয় হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান।
কম বয়সে স্ট্রোক প্রসঙ্গে ডা. সাইফ হোসেন খান জানান, একটা সময় পর্যন্ত ধারণা ছিল, স্ট্রোক শুধু বয়স্কদেরই হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল, ধূমপানের কারণে স্ট্রোক হয়। এ সমস্যাগুলো বেশিরভাগ সময় বয়স্কদের হতো বলেই স্ট্রোক নিয়ে এই ধারণা ছিল। তবে স্ট্রোক এখন কম বয়সেও দেখা যাচ্ছে।
কম বয়সে স্ট্রোকের কারণ
স্ট্রোক দুই প্রকারের হয়। একটি মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে, আরেকটি মস্তিষ্কে রক্তপাত হয়ে। দুই প্রকারের কারণও ভিন্ন। যেমন রক্ত জমাট বাঁধা স্ট্রোকের সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল, ধূমপান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। যাদের এ সমস্যাগুলো রয়েছে তাদের এ ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার কারণে অনেক কম বয়সে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সে কারণে কম বয়সে অনেকেরই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
ডা. সাইফ হোসেন খান আরও বলেন, কিছু রোগ আছে, যেগুলোতে রক্ত ঘন ও জমাট বাধার প্রবণতা বেড়ে যায়। এদের মধ্যে কিছু রোগ জন্মগত ও বংশগত হতে পারে। সেসব রোগ অল্প বয়সেই প্রকাশ পায়। তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে স্ট্রোক হয়। কিছু রক্তরোগের জটিলতার কারণে স্ট্রোক যেকোনো বয়সেই হতে পারে। আবার কিছু রোগে রক্ত জমাট বাঁধার পর, সেই জমাট রক্ত ছুটে গিয়ে মস্তিষ্কে চলে যায়। হার্টের ভালভের রোগ, কিছু বাতরোগে এ রকম হয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হয়। কিছু মাদকসেবনে এ রকম উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। রক্তনালির বিভিন্ন গঠনগত পরিবর্তন ও জটিলতা থেকেও অল্প বয়সে স্ট্রোক হয়।
অনেক রোগের জটিলতায় স্ট্রোক হয়। আবার কিছু রোগ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তা সে যে বয়সেরই হোক না কেন। তাই স্ট্রোক যে কম বয়সে হতে পারে সেটা মনে রাখতে হবে। যদি স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে তাহলে যেকোনো বয়সেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে
Leave a Reply