free tracking

কিডনি সমস্যায় টমেটো খাওয়া কি নিরাপদ?

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে কিডনি। পাশাপাশি শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যা।

কিডনিতে সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রার ওপর নজর রাখতে হবে। কিডনির অসুখে খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। কিডনির অসুখে কি টমেটো খাওয়া যাবে কি না, তা জানাচ্ছে হেলথলাইন ওয়েবসাইট।

হেলথলাইন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, টমেটোতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে।

কিডনির অসুখে বেশি পটাশিয়াম খাওয়া উচিত নয়। ১ কাপ (২৪৫ গ্রাম) টমেটো সসে ৭২৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মিনারেল ও ইলেকট্রোলাইট, যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোষে কোষে পুষ্টির জোগান দেয়, পেশি ও স্নায়ুর স্বাস্থ্য বজায় রাখে। কিন্তু কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্ত থেকে পটাশিয়াম অপসারণ করতে পারে না।

ফলে রক্তে পটাশিয়াম জমা হতে থাকে।

চিকিৎসকদের পরিভাষায় এই পরিস্থিতিকে বলে হাইপারক্যালেমিয়া। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের অসুখ, অনিয়মিত হার্টবিটের মতো সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু টমেটোতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, তাই কিডনির অসুখে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে ফসফরাস জমা হতে থাকে।

ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে, হার্টের অসুখের ঝুঁকি বড়ে। টমেটোতে ফসফরাস থাকে। তাই কিডনির অসুখে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

টমেটো এসিডিক খাবার। কিডনি শরীরে পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখে। বেশি মাত্রায় এসিডিক খাবার খেলে শরীরে পিএইচ এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা টমেটোর মতো এসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে না।

কিডনির সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে বাড়তি পানি ছেঁকে করে বের করতে পারে না। তাই শরীরে তরল জমতে পারে। কাজেই কিডনির অসুখে এমন খাবার খাওয়া যাবে না, যাতে বেশি পরিমাণে পানি আছে। টমেটোতে পানির পরিমাণ বেশি। তাই কিডনির অসুখে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, শরীরে পানি জমতে পারে। পা, পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। ব্লাড প্রেশারও বাড়তে পারে।

টমেটোতে থাকে অক্সালেট, যা কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নারীদের ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজের ঝুঁকিও বেশি।

৩০ পার হওয়া নারীদের মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে।

সূত্র : নিউজ ১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *