free tracking

যেভাবে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে ময়মনসিংহের ফেন্সী লাভলী!

ময়মনসিংহের নিষিদ্ধ পল্লী থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার বউবাজার এলাকার মোছা. উম্মে আক্তার ছালমা (১৮) চাকরির আশায় ঘর ছাড়লে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে ভয়ংকর প্রতারণার শিকার হয়।

ময়মনসিংহের নিষিদ্ধ পল্লীতে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করা পুলিশের ছায়াতলে থাকা কোটিপতি প্রভাবশালী সর্দারনী লাভলী ওরফে ফেন্সী লাভলীর নিকট মাদক ও নারী, দেহ ব্যবসার জন্য আমদানী করা (মাল) পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিক্রি করে দালাল চক্র।

বিভিন্ন জেলার কিশোরী তরুণীদের নানা চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে লাভলীর সাম্রাজ্যে নিয়ে আসে দরদাম সাব্যস্ত করে প্রথম ক্রেতা হিসাবে নগরীতে তার একাধিক বাড়ীতে ঐ সকল কিশোরী তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। পরে তার দালাল দিয়ে ট্রায়াল দেয় বলে সূত্রে জানা গেছে।

কথামতো কাজ না করলে চলে চরম অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতন, এসব কারণে ভীতসন্ত্রস্থ হয় মেয়েরা আনুগত্য শিকার করে জীবন পদ্ধতি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়। অসহায় এই বিক্রয় হওয়া মেয়েরা যদি কারো সহায়তায় নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে পোষণ করলেও, ভয় আতংক উৎকন্ঠা মনে বাসা বাঁধে,

পতিতা সর্দারনী, দালাল আর পুলিশের মাঝে লেনদেন, উঠবস সম্পর্ক দেখে ভুক্তভোগী নারী বন্দিদশা অধিকাংশ তরুণী দেহ ব্যবসার জন্য বিক্রয় হওয়ার পর নির্যাতনের শিকার হয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা চেপে যায়। প্রকাশ্যে বলতে পারার সাহস শক্তি হাড়িয়ে ফেলার কারণে অভিযোগ করিতে অস্বীকার করায় মামলা হয় না।
এ ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক সাদেকুর রহমান সাদেক এবং সাংবাদিক মো. বিল্লাল হোসেন মানিক কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে সর্দারনী লাভলীর আস্তানা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। তবে অভিযানের সময় লাভলী পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়ার পর ছালমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা দ্রুত ময়মনসিংহ এসে মেয়েটিকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে যাবেন। এ ঘটনায় সর্দারনী লাভলীসহ জড়িত দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে, সর্দারনী লাভলী ময়মনসিংহে পুলিশি চাপে পড়লেও তার দম্ভোক্তি থামছে না। তার অপরাধ সাম্রাজ্যের সঙ্গে পুলিশের লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে নগরবাসী হতবাক হয়ে পড়েছেন।

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *