free tracking

অবশেষে বিশ্বজগত ধ্বংসের সময় জানালেন বিজ্ঞানীরা!

বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, একদিন মহাবিশ্বেরও পরিসমাপ্তি ঘটবে। তবে এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা হবে না; বরং এক দীর্ঘ ও ধীর প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে নিভে যাবে মহাবিশ্বের আলো।

বর্তমানে আমরা স্টেলিফেরাস যুগে বাস করছি, যেখানে নক্ষত্রের জন্ম অব্যাহত রয়েছে। এই যুগ শুরু হয়েছিল বিগ ব্যাং-এর প্রায় এক মিলিয়ন বছর পর এবং এটি স্থায়ী হতে পারে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন বছর পর্যন্ত। তবে এই উজ্জ্বল যুগেরও একদিন সমাপ্তি ঘটবে।

বিজ্ঞানীদের মতে, মহাবিশ্বে হাইড্রোজেনের পরিমাণ সীমিত। যখন নক্ষত্রগুলো তাদের সমস্ত হাইড্রোজেন ব্যবহার করে ফেলবে, তখন নতুন নক্ষত্রের সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে। বৃহৎ নক্ষত্রগুলো সুপারনোভার মাধ্যমে বিস্ফোরিত হবে, আর তাদের অবশিষ্টাংশ হিসেবে থেকে যাবে নিউট্রন স্টার, হোয়াইট ডোয়ার্ফ এবং ব্ল্যাক হোল।

এরপর লক্ষ কোটি বছর ধরে ক্ষুদ্র নক্ষত্রগুলিও ধীরে ধীরে নিভে যাবে। মহাবিশ্ব, যা একসময় তারকার আলোয় আলোকিত ছিল, একসময় সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে যাবে। তবে, ততদিনেও মহাবিশ্ব একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে না। কিছু নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ ক্ষীণ আলো বিচ্ছুরণ করবে, আর কিছু মৃত গ্রহ এখনও তাদের কেন্দ্রীয় নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করবে।

অন্যদিকে, ডার্ক এনার্জির প্রভাবে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ থামবে না; বরং তা ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। ফলে একসময় গ্যালাক্সিগুলো এত দূরে সরে যাবে যে, নিকটতম গ্যালাক্সিগুলিও দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যাবে।

১৩.৮ বিলিয়ন বছর বয়সী বর্তমান মহাবিশ্বের তুলনায় ভবিষ্যৎ আরও দীর্ঘ এবং রহস্যময় হতে চলেছে। একসময় আমাদের এই মহাজাগতিক ভোরের সমাপ্তি ঘটবে, আর মহাবিশ্ব রূপ নেবে এক নিঃসঙ্গ, অন্ধকার ও নির্জন স্থানে!

সূত্র: এস্ট্রোফিজিক্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *