free tracking

পতনের পর পলায়ন, আর এখন গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা!

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সিআইডি সম্প্রতি শেখ হাসিনা সহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়, কলকাতার রাজারহাটে আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা সামনে আসে। এই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, কামাল, জাহাঙ্গীর, কোভিদ নানক, নাসিম, মেয়র জাহাঙ্গীর, সম্রাট সহ আওয়ামী লীগের একাধিক পলাতক নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, শেখ রেহানার ছেলে রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং তার স্ত্রীও সেখানে ছিলেন।

ইফতার পার্টিতে কামাল স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার নির্দেশ দেন এবং জানান, অস্ত্র ও অর্থের অভাব হবে না। তিনি নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, তারা যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করবে।

এছাড়া, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ‘জয়বাংলা ব্রিগেড’ নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এক জুম বৈঠকে গৃহযুদ্ধের ডাক দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। সিআইডির তদন্তে উঠে আসে যে, বৈঠকে শেখ হাসিনার পুনরায় ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের রূপরেখা তৈরি করা হয়।

এই ষড়যন্ত্রের সাথে কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ নেতারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। কলকাতা, দিল্লি, আগরতলা ও মেঘালয়ে এই নেতাদের মিটিংগুলো নির্বিঘ্নে চলছিল। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মধ্য রমজান থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাটিতে এসব বৈঠক চলছে, এবং এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে। সিআইডি তদন্তে শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রধান আসামী হিসেবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের ভেতরে এবং বাইরে সক্রিয় চক্রকে নজরদারিতে রেখে রাষ্ট্রদ্রোহীতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে।

বর্তমানে এই পরিস্থিতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন মোড় এনে দিতে পারে, এবং বিদেশে থাকা পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিশ্ব রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *