রমজান মাস শেষে আসছে ঈদ। আর এই সময় সবাই নতুন জামা-কাপড় কিনে থাকেন। নতুন জামা-কাপড়ের প্রতি আকর্ষণ থাকে সবারই। পছন্দের ওই পোশাকটি দ্রুত না পরা পর্যন্ত যেন মনের অস্থিরতা কাটেই না।
তবে দেখতে চকচকে হলেও নতুন জামা-কাপড় না ধুয়ে পরা উচিত না। নতুন পোশাক না ধুয়ে পরলে কী ক্ষতি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকে র্যাশ পড়া
প্রায়শই শপিং মল কিংবা দোকানে জামা-কাপড় ঝোলানো অবস্থায় দেখা যায়।
কাপড়ে যাতে ছত্রাক এর আক্রমণ না ঘটে সে জন্য ফর্মালডিহাইডের মতো রাসায়নিক ছড়িয়ে দেওয়া হয় অনেক সময়। ওই জামা পরলে স্পর্শকাতর ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন
চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়া
সুন্দর পোশাকটি আপনার কাছে আসার পূর্বে অনেক মানুষের ছোঁয়া লাগে। তৈরি থেকে শুরু করে প্যাকেট করা বা দোকানের সেলসম্যান অর্থাৎ বহু মানুষের হাতের স্পর্শ লেগে যায় কাপড়ে।
এর মধ্যে অনেকেই চর্ম রোগে আক্রান্ত থাকতে পারে। এই রোগের জীবাণু পোশাকে লেগে যেতে পারে এবং আপনি সহজেই উক্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। তাই অবশ্যই নতুন পোশাক ভালো করে ধুয়ে তারপর পরুন।
ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি
শুধু অন্যের হাতের ছোঁয়াই নয়, পোশাককে নিখুঁতভাবে আপনার সামনে উপস্থাপন করতে নানারকম রাসায়নিক ও রং ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান আপনার ত্বকের অনেক ক্ষতি করতে পারে।
এই রাসায়নিকের কারণে সামান্য চুলকানি বা র্যাশ থেকে শুরু করে ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
উকুনের বিস্তার ঘটা
নতুন পোশাক থেকে উকুনের বিস্তার একটি সাধারণ বিষয়। যেসব দোকানে বিশেষ করে পোশাক ট্রায়াল দিয়ে কেনার ব্যবস্থা আছে সেখানে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
অন্যের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়া
পোশাক ট্রায়ালের সময় অনেক ক্রেতা ঘামে ভেজা শরীরে ট্রায়াল দিয়ে চলে যান। পরে আপনি যদি সেই পোশাকটিই কিনে আনেন এবং না ধুয়েই পরেন তাহলে আগে ট্রায়াল দেওয়া মানুষটির শরীরের রোগ জীবাণু আপনার শরীরে চলে আসতে পারে। আপনিও তার শরীরে থাকা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।
নতুন কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ডাই ও কেমিক্যাল থাকতে পারে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য কেবল নতুন পোশাক নয়, নতুন তোয়ালে থেকে শুরু করে মোজা পর্যন্ত সব কিছুই ব্যবহারের আগে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন। এ ছাড়া জীবাণু ও কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
সূত্র : ডাক্তার ভাই
Leave a Reply