সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
আজ শনিবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহিদুল হক।
জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই এক দিন আগে ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
এ ছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ ৩টি গ্রামের কিছু মানুষ একই সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এক দিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলী ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। আগামীকাল রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ১১টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হবে।
সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, সৌদি আরবে আগামীকাল রবিবার ঈদ হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক লোকজন আমরা একদিন আগে রোজা শুরু করেছিলাম। আমাদের এখানে আলফাডাঙ্গা উপজেলারও কিছু লোকজন নামাজ আদায় করবেন।
এ ব্যাপারে শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
তারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের মুরিদান। শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলী ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানতে পেরেছি।’
Leave a Reply