মৃত্যু এমন একটি বাস্তবতা, যেখানে প্রবেশ করা যায়, কিন্তু বের হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। তবে কিছু ঘটনা কখনও কখনও আমাদের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করে এবং এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর দাফন, মিলাদ, সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল—কিন্তু আড়াই মাস পর হঠাৎ সেই কিশোর জীবিত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে।
এমন এক আশ্চর্য প্রত্যাবর্তন পুরো গ্রামে হইচই ফেলে দিয়েছে। কিভাবে এক মৃত ব্যক্তি আড়াই মাস পর জীবিত হয়ে ফিরে এল, এবং এই ঘটনা কি অলৌকিক, নাকি এর পেছনে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে? এ প্রশ্নই এখন গ্রামজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামের দরিদ্র পরিবার সাইদুর রহমান ও আমিনা খাতুনের ছোট ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (তুফান) গত ১৪ জানুয়ারি বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা গিয়েছিলেন। তবে এক অদ্ভুত কারণে ঢাকা শহরে হারিয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি, ফলে তার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে।
তবে এরপর, ১৯ বা ২০ জানুয়ারি পরিবার জানতে পারে, গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে একটি আহত কিশোরের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখে তারা চিনতে পারেন তাদের হারানো ছেলে তুফানকে। তাঁরা দ্রুত গাইবান্ধা চলে গিয়ে, চিকিৎসা শেষে ওই কিশোর মারা যান। তার মরদেহ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কিন্তু কিভাবে এমন ঘটল? আর এই ঘটনাটি কি সত্যিই ঘটেছে? ২৮ মার্চ, ঈদের ছুটিতে তুফান হঠাৎ করেই বাড়িতে ফিরে আসে। তার ফিরে আসার পর পুরো গ্রাম অবাক হয়ে যায় এবং এলাকাবাসী একে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছে। তুফান নিজে জানেন না, তাকে দাফন করা হয়েছিল!
তুফান জানিয়েছেন, “আমি কিছুদিন আগে ঢাকা শহরে গিয়েছিলাম, কিন্তু যোগাযোগের অভাবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। তারপর রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করি। এখন ঈদের আনন্দ ভাগ করতে বাড়ি ফিরেই এই অদ্ভুত ঘটনা জানলাম।”
তবে এর পরেও, গ্রামবাসীদের মধ্যে আরো বড় প্রশ্ন উঠেছে। যদি তুফান জীবিত থাকে, তবে কবরস্থানে দাফন করা মরদেহটি আসলে কার ছিল? এই রহস্য আজও মিমাংসিত হয়নি।
Leave a Reply