বয়স ৩০ পার হলেই নারীদের শরীরে শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে একাধিক রোগের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নারীদের উচিত আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যমতে, বিশ্বের কিশোরী ও তরুণী নারীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার একই বয়সী পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ। গর্ভাবস্থায় এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও টিবি সংক্রমণ শুধুমাত্র মায়ের নয়, গর্ভস্থ সন্তানের জন্যও হতে পারে গুরুতর হুমকি।
থাইরয়েড ও রক্তাল্পতা—গোপনে বাড়ে ঝুঁকিপরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৬০ বছর হওয়ার আগেই প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত হন। সেই সঙ্গে ২০-৪০ শতাংশ নারী মৃত্যুবরণ করেন শুধুমাত্র রক্তাল্পতার কারণে। এই দুই সমস্যার জন্যই ৩০-৪০ বছর বয়সী নারীদের থাইরয়েড ফাংশন (TFT) ও CBC পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার ঠেকাতে এইচপিভি টেস্টবিশেষজ্ঞদের মতে, ২১-৬৫ বছর বয়সী যৌনভাবে সক্রিয় নারীদের প্রতি তিন বছর অন্তর এইচপিভি পরীক্ষা করানো উচিত, যাতে সময়মতো ধরা পড়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সম্ভাবনা।
স্তন ক্যান্সার: সচেতনতা জরুরিম্যামোগ্রাফি ও স্ব-পরীক্ষা নারীদের স্তন ক্যান্সার থেকে সুরক্ষায় রাখে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, ৩০ বছর পেরোলেই বছরে একবার এই পরীক্ষা করানো উচিত। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে বয়সের সঙ্গেবয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। রক্তচাপ ও লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষার মাধ্যমে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ডায়াবেটিসের আগাম সতর্কতা৩৫ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যারা ওবেসিটি বা পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের আরও সতর্ক হওয়া জরুরি।
মা হতে চান? পরীক্ষা করিয়ে নিন উর্বরতাত্রিশের পর নারীদের ডিম্বাণুর সংখ্যা দ্রুত কমে যেতে থাকে। তাই গর্ভধারণে আগ্রহী নারীদের ফার্টিলিটি পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ।
???? হাড়ের যত্ন নিন এখনইDEXA স্ক্যানের মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি সময়মতো ধরা যায়। চল্লিশের পর প্রতি এক বা দুই বছর অন্তর এই স্ক্যান করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৩০ পেরোলেই নারীদের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সময়মতো রোগ শনাক্ত হলেই সেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
Leave a Reply