আইপিএল ২০২৫-এর মরশুমে শুক্রবারের সন্ধ্যাটা রীতিমতো বাঁচা-মরার লড়াইয়ের রূপ নিতে চলেছে। চিপক স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হচ্ছে দুই চাপে থাকা দল—চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে বহু হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখা গেলেও, এই ম্যাচটার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, যে দল হারবে—তাদের প্লে-অফে যাওয়ার সব দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। সোজা ভাষায় বললে, এই ম্যাচ হারলেই ‘খতম, টাটা, গুডবাই’।
চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দুটো দলই এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত নিজেদের ছন্দ খুঁজে পায়নি। ৮টি করে ম্যাচ খেলে মাত্র ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে দুই দলই। যা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে—পরিস্থিতি আরেকবার হার সইবার মতো নয়। এর মধ্যে ধোনির সিএসকে খেলছে নিজের ঘরের মাঠ চিপকে, ফলে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে তারা। তবে হায়দরাবাদও পিছিয়ে নেই। ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মার মতো মারকুটে ব্যাটাররা যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের চিত্র ঘুরিয়ে দিতে পারে।
পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে মোট ২১টি ম্যাচ হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি জিতেছে চেন্নাই, আর মাত্র ৬টিতে জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ। পরিসংখ্যানের এই পাল্লা ধোনিদের পক্ষেই ভারী, তবে আইপিএলে এমন বহুবার দেখা গেছে—পরিসংখ্যান দিয়ে ম্যাচ মাপা যায় না। গত ম্যাচে দুই দলই হেরেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে, তাও যথেষ্ট ব্যবধানে। মানসিকভাবে চাপে রয়েছে দুই শিবিরই।
বর্তমানে প্লে-অফে যাওয়ার জন্য একটি দলকে অন্তত ১৬ পয়েন্ট পেতে হবে। আজকের ম্যাচে যে দল হারবে, তারা বাকি পাঁচটি ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট পাবে—যা প্লে-অফে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয় বললেই চলে। তাই আজকের ম্যাচটা নিছক একটি খেলা নয়, বরং মর্যাদা, ভবিষ্যৎ এবং টিকে থাকার লড়াই। এই ম্যাচে যে দল জিতবে, তারা নতুন করে আশার আলো দেখতে পাবে। আর যে দল হারবে, তাদের জন্য এ মরশুম শেষ হয়ে যাবে একরাশ হতাশা নিয়ে।
ধোনির নেতৃত্ব, চিপকের স্পিন সহায়ক পিচ, আর অনুরাগীদের গর্জন চেন্নাইকে কিছুটা এগিয়ে রাখলেও, কামিন্সের হায়দরাবাদও পাল্টা ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই ম্যাচে হতে পারে দারুণ উত্তেজনা, নাটকীয় মোড়, আর হয়তো নতুন কোনো তারকার উত্থান।
তাই আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর গোটা ক্রিকেটবিশ্বের চোখ থাকবে চিপক স্টেডিয়ামের দিকে—কারণ এখানেই নির্ধারিত হবে, কে থাকবে আর কে বলবে, ‘খেল খতম, টাটা, গুডবাই’!
Leave a Reply