free tracking

ছাত্রলীগ পালিয়ে বেড়াচ্ছে আর নেতারা বাসায় ঘুমাচ্ছে! ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক লাইভ

‘ছাত্রলীগের ছোট ছোট নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে আর আওয়ামী লীগের বড় নেতারা বাসায় ঘুমাচ্ছে’। ব্যক্তিগত ফেসবুক লাইভে এসে এমন বক্তব্য দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাদল।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার লোক তার লাইভটি দেখেছেন এবং ১৪৩ জন মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে দলের প্রভাবশালীদের উদ্দেশে তিনি নানা অভিযোগ করেন।

মেহেদী হাসান বাদল পটুয়াখালী জেলা শহরের ৭নং ওয়ার্ডের পিডিএস মাঠ এলাকার বাসিন্দা। ৫ আগস্টের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা যারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তারা শহরে ঘুরছেন এবং বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর নেই। যত হামলা-ভাঙচুর ও মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আমিসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী কোনো টাকা-পয়সা ইনকাম করতে পারেনি, উলটো খরচ হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে কেউ খোঁজ-খবরও রাখছেন না।

এ সময় তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে যারা পরিচালনা করেছেন, সেই সব নেতারাও পটুয়াখালী শহরের বাসা ও ঢাকার ফ্লাটে বসবাস করছেন। অথচ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ ও আমার বাসায় একাধিকবার হামলা হয়েছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিকলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতার বাড়িতে কোনো ধরনের হামলা-ভাঙচুর করা হয়নি। অথচ ৫ আগস্টের আগে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোনো রকম ক্ষতি করিনি, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল।

মেহেদী হাসান বাদলের এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর মোবাইলে কল করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

ওই ছাত্রলীগ নেতার লাইভে স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা মিঠু হাওলাদার মন্তব্য করেন, পৃথিবীটা ছোট্ট, এর হিসাব হবে ইনশাআল্লাহ।

মইনুল ইসলাম সুমন নামের আরেকজন মন্তব্য করেন, এক পয়সাও ইনকাম করি নাই; করার সুযোগ পাইনি, তার পরেও বাড়ি ছাড়া।

এস কে সাদিক নামের একজন মন্তব্য করেন, দুদলের নেতারা তো এক সঙ্গে সোনারগাঁও এবং হোটেল শেরাটনে আড্ডা দেয়, পারলে ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়ে বেয়াই হয়ে যায়।

মো. রায়হান তালুকদার মন্তব্য করেন, দল থেকে দুইটা টাকা পায়নি, অথচ ৫ তারিখের পরে পরিবার লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতার লাইভ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *