একটি শান্ত বিকেল। নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে হেঁটে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে ইসলামাবাদে সূর্যাস্তের দিকে তাকিয়ে চিন্তামগ্ন শাহবাজ শরিফ। দুই শহর, দুটি দিগন্ত, কিন্তু সংকট এক—পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি অনিবার্য?
ঠিক এই উত্তপ্ত মঞ্চেই আবির্ভাব ঢাকার ‘প্রফেসর ইউনুস’-এর, যিনি হয়ে উঠেছেন দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-কৌশলগত মানচিত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাঁর কাঁধে এখন ভবিষ্যতের ভার—ভারত না পাকিস্তান, কোন দিকে ঢাকা?
ভারতের চাপ, পাকিস্তানের আহ্বান, আর ঢাকার নবনির্বাচিত ‘Made in Dhaka’ নীতি!শেখ হাসিনার পতনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন ঢাকা ফের দিল্লির ছায়ায় ফিরবে। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটেছে, তা যেন বিস্ময়ের ঘূর্ণি। নতুন সরকার ‘Made in Dhaka’ ব্যান্ডিং চালু করে শুরু করেছে এক ব্যতিক্রমী বিদেশনীতি—ভারত, চীন, পাকিস্তান, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গেও সমান দূরত্ব ও সমান বন্ধুত্বের খেলা।
চীন ও তুরস্কের সঙ্গে সামরিক প্রশিক্ষণ ও ড্রোন প্রযুক্তি চুক্তি, ইরানের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প—এই সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন শুধু ভৌগোলিকভাবে নয়, কৌশলগতভাবেও “গেম চেঞ্জার” হয়ে উঠেছে।
পহেলগাঁও হামলার পর মোদীর প্রতিশোধ স্পষ্ট, আর ঢাকার বন্ধুত্বের শর্তও কঠোর!কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ ভারতীয় নাগরিক। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে বলেছে—“এই রক্তপাতের উত্তর দিতে হবে”। সীমান্তে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন, মিডিয়ার হিংস্র প্রচার—সব মিলিয়ে যেন ১৯৯৯ বা ২০১৯-এর মতো যুদ্ধ পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার সামান্যতম বন্ধুত্বও ভারতের চোখে শত্রুতা বলে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু ঢাকা স্পষ্ট বলেছে, “আমাদের বন্ধুত্ব হবে আমাদের শর্তে, দিল্লির নয়”। এটা এক বিপ্লব। এক আত্মবিশ্বাস।
“নতুন মুসলিম দক্ষিণ এশিয়া” তৈরির আহ্বান! প্রফেসর ইউনুসকে বার্তা পাঠালেন শাহবাজ শরিফশাহবাজ শরিফ যে ভাষায় প্রফেসর ইউনুসকে আহ্বান জানিয়েছেন—”চলুন, গড়ি এক নতুন মুসলিম দক্ষিণ এশিয়া”—তাতে দিল্লি কার্যত স্তব্ধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি দুই জাতি তত্ত্বের একটি নতুন সংস্করণ, আর তা ঢাকাকে এক অদ্ভুত কূটনৈতিক ফাঁদে ফেলেছে।
কিন্তু ঢাকাও বুঝে গেছে—নিরপেক্ষতা দুর্বলতা নয়, বরং কূটনৈতিক অস্ত্র।
ঢাকা কি হবে মধ্যস্থতাকারী, না হয়ে উঠবে উত্তপ্ত সংঘর্ষের কেন্দ্র?এখনকার ঢাকা আর পুরনো সেই ছোট ভাই নয়, বরং এক “স্ট্র্যাটেজিক রাইভাল”—এটাই ভারতের আতঙ্ক। একটি গোপন রিপোর্ট বলছে, ঢাকা যদি পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতায় যায়, তবে সেটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। কিন্তু এবার ঢাকার কণ্ঠে ভয় নয়, আত্মবিশ্বাস—“আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যেমন Al Jazeera, Reuters এমনকি The Hindu ও Asia Times বলছে—ঢাকাই এখন দক্ষিণ এশিয়ার ‘কিংমেকার’।
শেষ প্রশ্ন: প্রফেসরের কৌশল কী হবে?এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রফেসর ইউনুস কী সিদ্ধান্ত নেবেন? ঢাকাই কি হবে নতুন জোট গঠনের প্ল্যাটফর্ম, না কি যুদ্ধের অজুহাত? ভারত কি প্রভাব হারিয়ে ফেলবে উপমহাদেশে? পাকিস্তান কি ফিরে পাবে এক যুগ্ম নেতৃত্বের স্বপ্ন?
উত্তর এখনও অজানা। কিন্তু একটাই নিশ্চিত—এই ভূখণ্ডের পরবর্তী নাটকের কেন্দ্রবিন্দু এখন ‘ঢাকা’।
Leave a Reply