free tracking

সবকিছুতেই বাংলাদেশকে টানার বদঅভ্যাস গেলো না ভারতের!

বাংলাদেশের প্রতি ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনো নতুন ঘটনা নয়। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যই তার প্রমাণ। এবার কাশ্মীরের সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী হামলার পর আবারো সেই পুরনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালো ভারতের একাংশ।

কাশ্মীরের পাহেলগাঁও অঞ্চলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের পর এটিই কাশ্মীর উপত্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত একাধিক পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত এবং গুরুত্বপূর্ণ পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের ঘোষণা রয়েছে। যদিও পাকিস্তান পাল্টা দাবি করেছে, হামলাটি ভারতেরই সাজানো নাটক।

তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এবার ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে। দেশটির ‘আজাক বাংলা’ নামক একটি টিভি চ্যানেল সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রচার করে, যেখানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে রক্তপাতের খবরে নাকি ড. ইউনূস আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এমনকি কাতারে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্বকারী চার নারী ক্রীড়াবিদের ছবি বিকৃত করে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। ভারতের শিলিগুড়িতে একটি হিন্দু সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিলেও দেখা গেছে বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান আর প্ল্যাকার্ডের ছড়াছড়ি। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, কাশ্মীর ইস্যুকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশকে অকারণে টেনে আনা হচ্ছে ভারতের রাজনৈতিক ও মিডিয়া প্রচারে।

এদিকে, কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন পয়েন্টে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিবর্ষণের অভিযোগ করেছে ভারত, যার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। তবে এখনো কোনো পক্ষের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি, এবং ভারতের দাবির সত্যতাও যাচাই হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে অকারণে জড়িয়ে ভারতীয় মিডিয়ার এমন অপপ্রচার সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *