বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মামুনুল হক। রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর খেলার মাঠ চত্বরে
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মামুনুল হক। রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর খেলার মাঠ চত্বরেছবি:
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অতীতের গণহত্যা ও গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের নেতাদের বিচার করতে হবে। বিচার শেষে যদি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বেঁচে থাকে, তবেই তাঁদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস, সঠিক বিচার হলে আওয়ামী লীগ পরিচালনার মতো কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।’
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর খেলার মাঠ চত্বরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। আওয়ামী লীগ দেশের ইতিহাসে পাঁচটি গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং প্রায় তিন হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের এই নেতা। তাঁর ভাষ্য, এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না।
মামুনুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে পদদলিত করেছিলেন। তাঁর আমলে ভারতীয় ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করে বাংলাদেশকে ভারতের শৃঙ্খলে বন্দী করা হয়। কিন্তু চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সরকারের গৃহীত উদ্যোগে রমজানে দ্রব্যমূল্য কমানো, লোডশেডিংমুক্ত পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। তবে নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছেন মামুনুল হক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইসলাম পরিপন্থী এসব সুপারিশ দ্রুত বাতিল করতে হবে। দেশের ৯০ শতাংশ নারী এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি আবদুর রউফের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply