free tracking

বিসিবি নির্বাচনে উত্তপ্ত লড়াইয়ের আভাস!

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরের শুরুতে। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের ঘণ্টা বাজার কথা তার দুই মাস আগেই। যদিও প্রকাশ্যে কিছু না দেখা গেলেও, পর্দার অন্তরালে পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি।

দুই শক্তিশালী প্যানেল প্রস্তুতএরই মধ্যে দুইটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

একে অপরকে পরাজিত করতে সেরা প্রার্থী টানার লড়াইয়ে নেমেছে উভয় পক্ষ।

ফারুক আহমেদের প্রত্যাবর্তনরাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনের পর সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ আবারও সক্রিয় হচ্ছেন।

বর্তমান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পরিচালিত বোর্ডে আগে কাজ করলেও এবার স্বতন্ত্র নেতৃত্বে নির্বাচন করার জল্পনা রয়েছে।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক খালেদ মোহিউদ্দিন সাথী বলেন,

“ফারুক ভাইয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যারা চলে যেতে বাধ্য করছে, তাদের কোনো গোপন উদ্দেশ্য নেই—শুধুই দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়া।”

ফারুকের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ: রফিকুল ইসলাম বাবুফারুকের বিপক্ষে গড়ে উঠেছে এক শক্তিশালী বিরোধী প্যানেল।

বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ১০ জনের মধ্যে অন্তত তিনজন প্রভাবশালী পরিচালক আছেন এতে।

বিসিবির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন,

“একজন সদ্য বিদায়ী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কও আমাদের প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমরা সেরা সংগঠকদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করছি এবং বিজয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”

নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আসতে পারেকিছু পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা চান “প্যানেলবিহীন” নির্বাচন।

তবে বাস্তবতা হলো, সরকার বা রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিসিবির মতো প্রভাবশালী ফেডারেশনের নির্বাচনে থাকবেই।

সংবিধান নিয়ে বড় প্রশ্ননির্বাচন হবে কোন সংবিধান অনুযায়ী—এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কড়া নির্দেশনা রয়েছে সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে।

ক্রীড়া উপদেষ্টা পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়,

“বোর্ড সেই পরিবর্তনের প্রতি সম্মান দেখাবে কিনা, নাকি আবারও একদল মানুষের দখলে থেকেই চলবে দেশের ক্রিকেট।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *