free tracking

স্তনের প্রতি ছেলেদের এত আগ্রহ কেন?

স্তনের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ অদম্য। আপনা-আপনিই যেন অনেক পুরুষের চোখ চলে যায় সামনের নারীর বুকের দিকে। কিন্তু কেন? পুরুষের এত আগ্রহের কেন্দ্রে কেন থাকে নারীর স্তন? হদিশ দিচ্ছে মনোবিজ্ঞানের গবেষক ও মার্কিন লেখক ল্যারি ইয়ং ও ব্রায়ান আলেকজান্ডারের লেখা গবেষণা গ্রন্থ ‘দ্য কেমিস্ট্রি বিটুইন আস: লাভ, সেক্স, অ্যান্ড দ্য সায়েন্স অফ অ্যাট্রাকশন’।

বংশবিস্তারের ধারণা জড়িয়ে রয়েছে স্তনের সঙ্গে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এই চিরন্তন ধারণা থেকেই পুরুষ মাত্রেই নারী-স্তনের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা।

ওই প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়- গবেষকদের মতে, নারী অঙ্গ হিসেবে স্তন পুরুষদের কাছে সবচেয়ে ‘রহস্যজনক’। বয়ঃসন্ধি কালেই এই ভাবনার উৎপত্তি। একটি ছেলে যখন বড় হতে থাকে, তখন সে নারী শরীরে এমন একটি অংশ দেখতে পায়, যা তার নিজের শরীরে নেই। এই ভাবনা থেকেই নারীর স্তন তার কাছে আজীবন রহস্যজনক ও আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।

মানুষের যৌন মিলনের ক্ষেত্রে স্তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। স্তনবৃন্ত থেকে নির্গত হরমোনও প্রভাবিত করে মানুষের যৌনক্রিয়া। স্বভাবতই এই অভ্যেস প্রভাব ফেলে তার পছন্দের ক্ষেত্রেও।

স্তন দেখে পুরুষের শরীরে যৌন উত্তেজনা অনুভূত হয়। এই ঘটনারও ভূমিকা রয়েছে স্তনের প্রতি পুরুষের আগ্রহে।

মানুষই হল একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যার যৌন উত্তেজনার সঙ্গে স্তনের সম্পর্ক রয়েছে। অন্য কোনও প্রাণীর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায় না।

সাধারণত বৃহৎ স্তনের প্রতি পুরুষ অধিক আকর্ষণ অনুভব করে। এর নেপথ্যেও রয়েছে ওই বংশবিস্তারের ধারণাই।

নারী শরীরের অন্যতম নরম অংশ হল স্তন। এই কোমলতা পুরুষকে আকর্ষণ করে। ফলে স্তন স্পর্শ করতে, চাপতে পুরুষ আগ্রহ বোধ করে।

নারী-স্তন পুরুষের কাছে অত্যন্ত আরামদায়ক। স্তনে মাথা রেখে বিশ্রাম নেওয়া তার সুপ্রাচীন অভ্যাস।

দীর্ঘদিনের এইসব অভ্যেস থেকেই মানুষের যে মানসিক গড়ন তৈরি হয়েছে, তা-ই অবধারিত করে দিয়েছে নারীর স্তনের প্রতি পুরুষের আকর্ষণকে। আজ প্রকৃতির অন্যতম বিস্ময় হিসেবেই হয়তো যা বিবেচিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *