কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলে একে অপরের দিকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে ভারত ও পাকিস্তান। বুধবার (৭ মে) রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে এ আর্টিলারি সংঘাত বাধে। এর আগে বুধবার দিনে এক দফা গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের প্রতিরক্ষা মুখপাত্রের বিবৃতি অনুসারে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ কন্ট্রোল) জুড়ে ছোট অস্ত্র এবং আর্টিলারি বন্দুক দিয়ে গুলি ও গোলাবর্ষণ করেছে। জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বার্টওয়াল জানান, ভারতীয় সেনারা সজাগ আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সক্ষম।
এর আগে বুধবার দিনে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র সিএনএন-কে জানায়, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে গোলাবর্ষণ করেছে। এতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ওই হামলায় এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দুই দেশের সামরিক বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে গুলি বিনিময় করে আসছে। বন্দুকধারীরা ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা চালিয়ে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। এর পেছনে আন্তঃসীমান্ত সংযোগের অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় ভারত। পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ নিলে উত্তেজনা বাড়ে। সেই কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সামরিক সংঘাতে রূপ নেয় মঙ্গলবার মধ্যরাতে।
এদিকে পাকিস্তানের লাহোর শহরের ওয়ালটন রোড এলাকায় বুধবার রাতে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত দুই থেকে তিনটি বিস্ফোরণ হয় এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনেই স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
বিস্ফোরণের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে এবং চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে বিস্ফোরণের পর এলাকাজুড়ে ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠতে দেখা গেছে। এখনো বিস্ফোরণের প্রকৃতি বা উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি প্রশাসন।
Leave a Reply