বুধবার দিবাগত রাতে দেশে ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন বলে জানা গেছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।
এর আগে রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ।
সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশ ছাড়ার ‘সবুজ সংকেত’ পান তিনি।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তারা বলছে, তার (আবদুল হামিদ) দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কিংবা কোনো বাহিনীর আপত্তি ছিল না। নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়নি।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হয়েছে।
আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্র জানায়, তার সঙ্গে শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ আছেন। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গেছেন বলে দাবি পরিবারের।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন তিনি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়।
Leave a Reply