free tracking

সার্জারির মাধ্যমে ভ্যাজাইনা টাইট করা নিয়ে যা বলছে ইসলাম!

হুজুর আজকাল অনেক মহিলাই কসমেটিক সার্জারি করে নিজের ফেস, বডি, হেয়ার লুক এমনকি ব্রেস্ট সার্জারি করে থাকেন। অনেক মহিলা ভ্যাজাইনা টাইট করেন সার্জারি মাধ্যমে। আমি যদি আমার স্বামীর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে, স্বামীর তৃপ্তির লক্ষ্যে এধরণের সার্জারি এমন হাসপাতালে করি যেখানে সম্পূর্ণ নারী দ্বারা সার্জারি করা হয় এবং পর্দা সংরক্ষিত করা হয়- তাহলে কি সেটা বৈধ হবে? আমি কেবলমাত্র আমার স্বামীর সন্তুষ্টির লক্ষ্যেই এটা করতে চাই।

উত্তর : নীতিগতভাবে শরীয়ত এ ধরণের কাজ সমর্থন করে না। কারণ, মানুষের শারীরিক পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে, বয়স বা অসুস্থতার কারণে নারী পুরুষ উভয়েরই শারীরিক পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। এটি নারী পুরুষ উভয়েরই মেনে নিতে হয়। সার্জারি করে নিজের নাক-মুখ বা দেহের অন্য অঙ্গ পরিবর্তন করা চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। ইসলাম মানুষের প্রকৃতিগত অবস্থা পরিবর্তন করতে নিরুৎসাহিত করেছে। যেমন, নবী করিম (সা.) নারীদের ভ্রু প্লাক করা হারাম করেছেন। এর পেছনে কত কারণ যে থাকতে পারে, তা কেবল আল্লাহ ও তার রাসূলই জানেন।

কোনো স্বামী যদি সার্জারির মাধ্যমে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার এমন পরিবর্তন চান, তার এ চাওয়া একটি স্বাভাবিক চাওয়া নয়। যে জন্য নিজ স্ত্রীকে নারীদের দ্বারাই এমন একটি সার্জারি যেতে হয়, যার দ্বারা উপকারের চেয়ে রোগিনীর নানারকম ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী। এমনকি এতে সময়ে আরও অধিক বিকৃতি বা ক্যান্সারের আশংকা থাকে। এসব বিষয় বিবেচনা করে শরীয়ত এটি সেই দম্পতির ইচ্ছা উপর ছেড়ে দিবে।

এ কাজটি সুস্পষ্ট নাজায়েজ ও হারাম বলা যেমন সহজ নয়, নানাবিধ কারণে এবং ইসলামের মৌলিক নির্দেশনার আলোকে এটি জায়েজ বা বৈধ বলে দেওয়াও সুকঠিন ব্যাপার। এসবক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক ইশারা ও ঈমানী কনসেপ্ট বুঝতে হবে।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *