মাত্র পাওয়াঃ অফিস সহায়ক খলিলের ফাঁস করা প্রশ্নে ক্যাডার হন তিনজন!

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসে গ্রেফতার সাতজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্নফাঁস করে একটি চক্র। তাদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন। তাদের কাছে প্রশ্নফাঁস করেন সরকারি কর্ম কমিশনের অফিস সহায়ক মো. খলিলুর রহমান।

খলিলুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ঐ বিসিএসে তার ফাঁস করা প্রশ্নে ১০ জনের মধ্যে ছয়জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সেই ছয়জনের মধ্যে তিনজন মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন। বাকি তিনজন ক্যাডার হন।

এছাড়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রেলের অন্তত কয়েকশ নিয়োগে খলিলুরের হাত ছিল বলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

খলিলুর আরো জানান, পিএসসির সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতেন। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললে নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতো।

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়ামুলও প্রশ্নফাঁসে তাকে নানা সময় সহযোগিতা করতেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *