হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হয়েছেন নাকি তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন প্রশ্ন উঠতেই স্বাভাবিকভাবে সবার আগে সন্দেহের তীর চিরশত্রু ইসরায়েলের দিকে চলে যায়। তবে ইরানের এই ঘটনা নিয়ে বেশ সতর্ক পন্থা অবলম্বন করেছে তেল আবিব। এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্যই করেনি দেশটি। তবে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইসরায়েলের কোনো হাত নেই। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
গতকাল রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের উত্তর-পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে সোমবার তাদের হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধারকারী দল। তবে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, এই ঘটনায় আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এদিকে ইসরায়েলি সরকার এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য না করলেও দেশটির বিরোধী দলের নেতা এমকে আভিগডর লিবারম্যান বলেছেন, রাইসির মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে, তা ইসরায়েল আশা করে না।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমাদের কিছু আসে-যায় না। ইরানের প্রতি ইসরায়েলের মনোভাবে পরিবর্তন আসবে না। ইরানের নীতি তো তাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিয়ি দেখভাল করেন।
ইসরায়েল ও ইরান একে-অন্যের অজন্ম শত্রু দেশ। এত বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি ইরান। এমনকি দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মাত্র মাস খানেক আগেই পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
Leave a Reply