জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক সময় তুমুল আলোচনায় এসেছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি। দীর্ঘদিন পর আবারও খবরের শিরোনামে এলেন তিনি—এইবার নিজের স্বামীকে ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে।
হ্যাপি অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী মুফতি তালহা ইসলাম এখন পর্যন্ত নয়টি বিয়ে করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তালহা ইসলাম নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজধানীর একটি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন হ্যাপি।
এক সংবাদ সম্মেলনে হ্যাপি জানান, “বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার আসল রূপ ধরা পড়ে। আমি তাকে বহুবার তালাক দেওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু প্রতিবারই আমাকে ভয় দেখানো হয়। কখনও কোটি টাকার দাবি, কখনও সন্তানকে চিরতরে কেড়ে নেওয়ার হুমকি!”
হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, হ্যাপি সাত বছর আগে মুফতি তালহা ইসলামকে বিয়ে করেন। তালহার পরিচয়, তিনি নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে। বিয়ের পরই হ্যাপি জানতে পারেন, তার স্বামী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং একাধিকবার বিয়ে করেছেন।
হ্যাপির দাবি, মামলার পরদিনই তালহা লোকজন নিয়ে এসে প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসার মালামাল সরিয়ে ফেলেন এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন এই সাবেক অভিনেত্রী।
হ্যাপি বলেন, “মারধরের ভয়ে এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন আর পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে, তাই মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি।”
Leave a Reply