জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান আন্দোলনের মধ্যে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারার ঘটনার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত এবং তিনি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুসাইন বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে বলেন, “গতকালের ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। আমি বোতলটি আকাশের দিকে ছুঁড়েছিলাম, কাউকে লক্ষ্য করে নয়। কাউকে আহত বা অপমান করার উদ্দেশ্যে কাজটি করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। কেউ বলছে আমি ছাত্রলীগ, কেউ বলছে শিবির – অথচ আমি কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত নই। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী, টিউশন ও পার্ট-টাইম কাজ করে নিজের খরচ চালাই। রাজনীতি করার সময় বা ইচ্ছা আমার নেই।”
ঘটনার পর হুসাইন অভিযোগ করেন, তাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। “কেউ কেউ বলছে তারা ক্যাম্পাসের আশপাশেই আছে এবং আমাকে মব দিয়ে হেনস্তা করবে। বিষয়টি নিয়ে আমি চরম আতঙ্কে আছি,” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ মে) রাতে কাকরাইল এলাকায় আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় একটি পানির বোতল আঘাত করে। তিনি তখন পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান করছিলেন।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা ঘটনাটিকে ‘নিকৃষ্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধির প্রতি চরম অসম্মান। অন্যদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী কিংবা কোনো শিক্ষক জড়িত নন। উপদেষ্টা মাহফুজ নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তার মানসিক কাউন্সেলিং দরকার।”
এদিকে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, তারা তাদের দাবিতে অনড় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘গণবিরোধী আচরণের’ বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবেন।
Leave a Reply