free tracking

মেয়ে কুমারী বা ভার্জিন কিনা যেভাবে বুঝবেন!

অনেক সময় শোনা যায়, শুধু চোখে দেখেই বোঝা যায় কোনও মেয়ে কুমারী কি না। অনেকেই মনে করেন, সতীচ্ছেদ (হাইমেন) অটুট থাকলে সেই মেয়ে কুমারী। আবার কেউ কেউ বলেন, কোমরের গঠন দেখেও কুমারীত্ব নির্ণয় করা সম্ভব। অনেকে মহিলাদের সামগ্রিক শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি করেও এমন দাবি করেন।

সতীচ্ছেদ ও কুমারীত্বের বাস্তবতাপ্রথমেই পরিষ্কার করে বলা দরকার, সতীচ্ছেদের সঙ্গে কুমারীত্বের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। যৌ.তার সময় সতীচ্ছেদ ছিঁড়তে পারে, যা থেকে সামান্য রক্তপাত ও ব্যথা হতে পারে। তবে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যাওয়ার পিছনে যৌ.তা ছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন:

সাইক্লিংক্রীড়া অনুশীলনশারীরিক আঘাতআবার এমনও হতে পারে, কারও সতীচ্ছেদ যৌ.তার পরেও অটুট থাকে। সুতরাং, শুধুমাত্র সতীচ্ছেদ দেখেই কুমারীত্ব নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

দেখে বোঝা যায় না কুমারীত্বএখন ভাবুন, সতীচ্ছেদ যদি নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে চোখে দেখে বা শারীরিক গঠন দেখে কুমারীত্ব বোঝা কতটা অবাস্তব। বাস্তবতা হলো, কোনও মেয়ে কুমারী কি না, তা দেখে বোঝা সম্ভব নয়।

কুমারীত্ব নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাভার্জিনিটি নিয়ে সমাজে আরও কিছু ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে:

বলা হয়, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে মহিলাদের কুমারীত্ব হারানো জরুরি তাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য। বাস্তবে, এই কথার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

যৌ.তার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কিছু সম্পর্ক রয়েছে, তবে এর অর্থ এই নয় যে, যৌ.তা ছাড়া কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

আবার বলা হয়, যৌ.তার পরে মহিলাদের শরীরে বড় ধরণের পরিবর্তন আসে, যা একেবারেই ভুল।লজ্জা বা সংকোচের অনুভূতি কুমারীত্বের সঙ্গে যুক্ত— এই ধারণাও ভিত্তিহীন।

একজন মহিলা কুমারী কি না, বোঝার একমাত্র উপায়শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন থাকে— কীভাবে বোঝা যাবে একজন মহিলা কুমারী কি না?এর উত্তর খুব সহজ— স্বীকারোক্তি। শুধুমাত্র ব্যক্তির নিজের বক্তব্যই একমাত্র সত্যের ভিত্তি হতে পারে। অন্য কোনও উপায়ে কুমারীত্ব নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *