free tracking

যে ভি’টামিনের অভাবে হাত-পা জ্বা’লাপো’ড়া করে, করণীয় কী? জেনে নিন

হাত-পায়ে জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণায় কমবেশি সকলেই ভুগে থাকেন। বিশেষ করে গরমের দিনে এটি ভীষণ তীব্র আকার ধারণ করে। তবে কি কারণে এই হাত-পা জ্বালাপোড়া করে তা অনেকেই জানেন না।

আসুন জেনে নেয়া যাক কী কারণে হাত-পা জ্বালাপোড়া করে-

হাত-পায়ে জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূতি অনেক কারণেই হয়ে থাকে। প্রধান কারণটি হলো স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যাকে বলে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।

হাত-পা জ্বালাপোড়া বা পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া (burning sensation) হওয়ার অন্যতম কারণ ভিটামিন বি–এর ঘাটতি, বিশেষ করে:

* ভিটামিন বি১ (Thiamine)
* ভিটামিন বি৬ (Pyridoxine)
* ভিটামিন বি১২ (Cobalamin)

এই ভিটামিনগুলো স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলোর ঘাটতি হলে স্নায়ু দুর্বল হয়ে গিয়ে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া, ঝিনঝিনে অনুভূতি, অবশভাব বা অসাড়তা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত লক্ষণ থাকতে পারে:
হাত-পায়ের দুর্বলতা

ভারসাম্য রক্ষা করতে সমস্যা

অবসাদ বা মনমরা ভাব

স্মৃতিশক্তি হ্রাস (বিশেষ করে বি১২-এর ঘাটতিতে)

অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তালুতে অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

কিছু ওষুধ (যেমন: কেমোথেরাপি, স্ট্যাটিন, অ্যান্টিবায়োটিক) স্নায়ুর ক্ষতি করে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।

প্রতিকার ও করণীয়:
* ঠান্ডা পানি বা বরফ:
কিছুক্ষণ হাত-পা ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যায়।

* হালকা ব্যায়াম:

নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তসঞ্চালন ভালো হয় এবং নার্ভ কার্যক্ষম থাকে।

* স্ট্রেস কমানো:

মেডিটেশন, যোগব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া দরকার।

* খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি গ্রহণ (যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, পুরো শস্য) ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া উচিত।

* প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ

* রক্ত পরীক্ষা করে ঘাটতি নির্ধারণ করা

তাই হাত-পা জ্বালাপোড়ার পেছনে থাকতে পরে লুকানো অনেক রোগ। কেবল এর-ওর কথায় ভিটামিন বা নার্ভের ওষুধ না খেয়ে কারণ নির্ণয় করা জরুরি। কারণ, এর চিকিৎসা করাটাও জরুরি। প্রথম দিকেই চিকিৎসা নিলে রোগটার জটিলতা কমানো সহজ হবে। এর চিকিৎসায় ভিটামিন বি আর প্রিগাবালিন/গাবাপেন্টিন বা আরও কিছু চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সঠিক কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন আগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *