আমাদের সকলের মুখের ত্বকেই ছোট ছোট বিন্দুর মতো লোমকূপ বিদ্যমান। এই লোমকূপের মাধ্যমেই ত্বক তার প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা পেয়ে থাকে। তবে এখানেই ধুলাবালি জমে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যাও তৈরি হয়।
সাধারণত লোমকূপের আকার খুবই ছোট হয়ে থাকে, যা খালি চোখে সহজে দেখা যায় না। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই এই লোমকূপগুলো বেশ বড় ও দৃশ্যমান হয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আসুন, মুখের ত্বকের লোমকূপ বড় হওয়ার প্রধান পাঁচটি কারণ জেনে নেওয়া যাক:
১. তৈলাক্ত ত্বক:
অতিরিক্ত সিবাসিয়াস গ্রন্থি (Sebaceous Gland)-এর কার্যকারিতা মুখের ত্বকের লোমকূপ বড় হওয়ার প্রধান কারণ। স্বাভাবিকভাবেই ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য তেল উৎপন্ন হয়। কিন্তু যখন এই তেলের উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। ত্বকের অতিরিক্ত তেলে বাইরের ধুলাবালি আটকে ব্রণ, হোয়াইট হেডস ও ব্ল্যাক হেডসের সৃষ্টি করে। এই কারণেই মূলত ত্বকের লোমকূপ বড় হয়ে যায়।
২. রোদের কারণে ত্বকের ক্ষতি:
রোদের প্রখর আলো শুধু ত্বকে পোড়াভাবই সৃষ্টি করে না, দীর্ঘ সময় রোদে থাকার ফলেও মুখের ত্বকের লোমকূপ স্বাভাবিক আকারের চেয়ে বড় হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকার ফলে কোলাজেন তৈরির হার কমে যায়। কোলাজেনের অভাব ত্বকের টিস্যুর স্তরকে দুর্বল করে, যার ফলে লোমকূপের আয়তন প্রসারিত হতে শুরু করে।
৩. বয়স বৃদ্ধি:
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। এর ফলে ত্বকের পুনর্গঠনের ক্ষমতাও হ্রাস পায়। এই কারণে ত্বকের লোমকূপগুলো আকারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং আরও বেশি দৃশ্যমান হয়।
৪. ত্বকে খোঁটার অভ্যাস:
যেকোনো সমস্যায় বা আনমনে ত্বকে নখ দিয়ে খোঁটার অভ্যাস থাকলে লোমকূপ বড় হয়ে যেতে পারে। সামান্য র্যাশ বা ব্রণ হলেই অনেকে নখ দিয়ে ত্বক খোঁটানো শুরু করেন। এর ফলে ত্বকের ওই খালি স্থান থেকে বড় লোমকূপের সৃষ্টি হয়।
৫. জিনগত বৈশিষ্ট্য:
ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার পরেও অনেকের মুখের ত্বকের লোমকূপ বেশ বড় ও দৃশ্যমান থাকে। এমনটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো জিনগত বৈশিষ্ট্য। পারিবারিক ইতিহাসের কারণে এমনটা হতে পারে। এক্ষেত্রে ত্বকের প্রতি আরও বেশি যত্ন ও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
এই কারণগুলো জানলে আপনি আপনার ত্বকের লোমকূপের আকার বড় হওয়ার পেছনের রহস্য বুঝতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।
Leave a Reply