ভারত টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার দীর্ঘ ১১ দিন পরে অবশেষে মিলারের সেই বিতর্কিত ক্যাচ সম্পর্কে মুখ খুললেন সূর্যকুমার!

কথা হচ্ছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে। শেষ ওভারে ৬ বলে ১৬ রান দরকার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্বপ্ন তখনও বেঁচে ছিল। কিন্তু ওভারের প্রথম বলেই গোলমালের মতো। লং অফ বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে প্রোটিয়া দলের কাছ থেকে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেন সূর্যকুমার যাদব।

তবে সেই ক্যাচ নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। প্রশ্ন হল ডেভিড মিলারের সেই বলটি আসলে ফ্লিক নাকি ক্যাচ ছিল। এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন সূর্যকুমার নিজেই।

বিশ্বকাপ জেতার ১১ দিন পর সেই ক্যাচ নিয়ে কথা বললেন সূর্যকুমার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ‘আমরা সবাইকে খুশি করতে পারি না। আমি যখন বল ধরি, আমার পা বাউন্ডারি স্পর্শ করছিল না। সেই মুহুর্তে যা ঠিক মনে হয়েছে তাই করেছি। ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন. বল আমার কাছে এসে ধরা দিয়েছে। বারবার রিপ্লে দেখে বোঝা গেল ক্যাচে কোনো সমস্যা হয়নি। পরিষ্কার ক্যাচ পেয়েছেন।

হঠাৎ এমন কঠিন ক্যাচ নেননি সূর্য। এর জন্য অনেক অনুশীলন করতে হয়েছে। সূর্য বলেন, ‘প্র্যাকটিসে এমন ক্যাচ অনেক সময় নিতাম। আমি জানতাম ম্যাচে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আমি নিজেকে তৈরি করেছি। ভাগ্যক্রমে ঈশ্বর আমাকে সেই শেষ মুহূর্তে সুযোগ দিয়েছিলেন। আমি তাকে ব্যবহার করেছি।’

বার্বাডোসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারে উইকেটে ছিলেন ডেভিড মিলার। প্রোটিয়াদের এখনও আশা থাকতে পারে কারণ মিলার ছিলেন একজন ঘাতক। কিন্তু প্রথম বলেই ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করেন হার্দিক পান্ডিয়া। একটি ফুল টস সময়ের গড় হয়ে ওঠে। সরাসরি ব্যাট করতে থাকেন মিলার। লং অফ দিয়ে বল চলে যাচ্ছিল বাউন্ডারির ​​বাইরে। এরপর সূর্যকুমার জাদুর মতো এসে বাউন্ডারির ​​দড়ি থেকে ক্যাচ তুলে নেন।

প্রথমে দ্বিধা ছিল। টিভি আম্পায়ার পরে নিশ্চিত করেন যে এটি একটি আইনি ক্যাচ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকারও এতে কোনো আপত্তি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *