পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১৫ মে একই বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল।
কেন নিষিদ্ধ এই গাছগুলো?
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের প্রধান ক্ষতিকর প্রভাবগুলো হলো:
ইউক্যালিপটাস গাছ অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি শোষণ করে, যার ফলে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হয়।
এটি প্রচুর অক্সিজেন গ্রহণ ও নাইট্রোজেন নির্গত করে, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে।
পাতাপালা সহজে পচে না, মাটির গুণাগুণ খারাপ হয়।
এতে পাখিরা বসতে চায় না এবং আশেপাশের গাছের বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়।
গাছে থাকা অতিরিক্ত তেল একে দাহ্য করে তোলে, যা আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ায়।
এই গাছগুলো মূলত দ্রুত বৃদ্ধির আশায় ১৯৬০-এর দশকে দেশে আনা হয়, এমনকি সরকারি বনায়ন প্রকল্পেও ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০৮ সালে এ গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবায়ন ছিল সীমিত।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউক্যালিপটাস বা আকাশমনি গাছ রোপণ বন্ধ করতে হবে।
দেশীয় গাছের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরতে হবে।
গাছ লাগানোর সময় দেশীয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ বেছে নিতে হবে।
পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে বীজ সংরক্ষণ ও দেশীয় গাছের বিপণনে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a Reply