free tracking

ফুসফুস ক্যানসারের ব্যতিক্রমী ৭ লক্ষণ!

প্রতি বছর বিশ্বে ক্যানসারে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ফুসফুস ক্যানসার। এ কারণে এটি সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতি ক্যানসার হিসেবে পরিচিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ। এছাড়াও ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাসসহ আরও কিছু কারণে এই ক্যানসারে মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে।

ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশেরই প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ দেখা যায় না- কিন্তু এই সময়ে চিকিৎসা খুব কার্যকর হতে পারে। এ কারণে যারা এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে তাদের প্রতিবছর বুকের সিটি স্ক্যান করানো উচিত।

ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হলে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘস্থায়ী কাশি সাধারণ লক্ষণ হিসেবে থাকে। কিন্তু এ ক্যানসারের কিছু আনকমন বা ব্যতিক্রমী উপসর্গ রয়েছে, যা সম্পর্কে জানা থাকা উচিত।

ফুসফুস ক্যানসারের ৭ ব্যতিক্রমী লক্ষণ

* কাশিতে অস্বাভাবিকতা: দীর্ঘস্থায়ী কাশি ‍ফুসফুস ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ, এটি প্রায় সবারই জানা। কিন্তু কাশিতে অস্বাভাবিকতায়ও ফুসফুস ক্যানসারের ইঙ্গিত দিতে পারে। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

* বুকের এক পাশে ব্যথা: ফুসফুস ক্যানসারের অন্যতম একটি সতর্কীকরণ লক্ষণ হচ্ছে, বুকের এক পাশে ব্যথা। যা প্রায়শই গভীর শ্বাস, কাশি বা হাসলে আরও খারাপ হয়। এই ব্যথা কাঁধ এবং পিঠ পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। ব্যথা ক্রমাগত বা বিরতিহীন কিনা তাও খেয়াল রাখতে হবে।

* অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস: ওজন কমানোর কোনো চেষ্টা ছাড়াই তিন মাসের মধ্যে দশ বা তার বেশি ওজন কমে যাওয়া অনেক ধরনের ক্যানসারের ইঙ্গিত দিতে পারে, যেমন- ফুসফুস ক্যানসার। এক্ষেত্রে ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া ওজন হ্রাসে ভূমিকা রাখে।

* কন্ঠস্বর পরিবর্তন: কর্কশ (কণ্ঠস্বর পরিবর্তন) কণ্ঠস্বরের বিকাশ ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে, বিশেষ করে যদি দীর্ঘস্থায়ী এবং অস্বাভাবিক কাশির সাথে থাকে। কন্ঠস্বরের পরিবর্তন (কর্কশ) যদি এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ পরও স্বাভাবিক না হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে।

* শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে না এমন হালকা কাজ কাজ করার পরও শ্বাসকষ্ট হলে, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

* অত্যধিক তৃষ্ণা: বিরল ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যানসারের টিউমার এমন পদার্থ সৃষ্টি করে যা রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং এটি অত্যধিক তৃষ্ণা অনুভব করায়। যদি আপনি তৃষ্ণা অনুভবের কারণে সচরাচরের তুলনায় বেশি পানি পান করেন, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন- কারণ এটি ফুসফুস ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

* ক্লান্তি: ফুসফুসের ক্যানসারের ফলে লোহিত রক্ত ​​কণিকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে রক্তে অক্সিজেনও কমে যায়। এর ফলে সাধারণ ক্লান্তি এবং শারীরিক দুর্বলতার ধারাবাহিক অনুভূতি হয়।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *