free tracking

বড় ঘোষণা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা!

সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকরা আগামী সোমবার (২৬ মে) থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। তারা ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

এই কর্মবিরতি আহ্বান করেছে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’, যারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন।

ঐক্য পরিষদের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন,”৫ মে থেকে শুরু করে আমরা ধাপে ধাপে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা ও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আসেনি। তাই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।”

এর ফলে, দেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষকের মধ্যে বিপুল সংখ্যক সহকারী শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

দাবি তিনটি কী?

সহকারী শিক্ষক পদকে ‘অ্যান্ট্রি পজিশন’ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা।

প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত ও দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, যেখানে প্রধান শিক্ষকদের রয়েছে ১১তম গ্রেড। দীর্ঘদিন ধরেই সহকারী শিক্ষকরা দাবি করে আসছেন যে, একই পদমর্যাদায় থাকা অবস্থায় বেতন বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না।

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটি সহকারী শিক্ষক পদকে ‘অ্যান্ট্রি পদ’ বিবেচনায় ১২তম গ্রেড বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছিল। তবে তা শিক্ষক সমাজ প্রত্যাখ্যান করে এখন ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন।

এই কর্মবিরতির কারণে দেশের লাখো শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষা অধিদফতর এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দাবির ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক সাড়া না পেলে আন্দোলনের পরিধি আরও কঠোর হবে। এমনকি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির দিকেও যেতে পারেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *