ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, অতিরিক্ত ঘুমও হতে পারে নানা রোগের কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এদের মধ্যে রয়েছে ডায়েবেটিস, বন্ধ্যাত্বসহ আরো অনেক রোগ।
সেরোটোনিন নামের হরমোনের সাহায্যে ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয়। অতিরিক্ত ঘুম এই হরমোনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধা দেয় এই হরমোন। সে জন্য অনেকেই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা ব্যথার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা ও তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয়, যার কারণে মাথা ব্যথা শুরু হয়।
অতিরিক্ত ঘুমের কারণে হতে পারে যে রোগগুলো:
ডায়াবেটিস:
অতিরিক্ত ঘুমের ফলে শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যেতে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদরোগ:
গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো ব্যক্তিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। রক্তচাপ অনিয়মিত হওয়াও এর একটি কারণ।
মোটাপ্রবণতা:
যারা অতিরিক্ত ঘুমান, তারা অনেক সময় কম সক্রিয় থাকেন, যার ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং মেটাবলিজম ধীর হয়ে পড়ে।
ডিপ্রেশন ও মানসিক সমস্যা:
অতিরিক্ত ঘুম মানসিক স্থিতি নষ্ট করতে পারে। অনেক সময় বিষণ্ণতা ও ক্লান্তির প্রধান লক্ষণ হিসেবেও অতিরিক্ত ঘুম দেখা যায়।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া:
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুম ব্রেইনের কোষে প্রভাব ফেলতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে ঘাটতি তৈরি করে।
মৃত্যুর ঝুঁকি:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘসময় ধরে অতিরিক্ত ঘুমানো ব্যক্তিদের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কীভাবে বুঝবেন আপনি অতিরিক্ত ঘুমাচ্ছেন?
*প্রতিদিন ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো।
*ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্ত অনুভব করা।
*দিনে বারবার ঘুমিয়ে পড়া।
*সক্রিয়তা ও মনোযোগে ঘাটতি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য যথেষ্ট। ঘুমের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট
Leave a Reply