মহান আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী পৌঁছার অন্যতম একটি আমল কোরবানি। নির্দিষ্ট দিনসমূহে সামর্থ্যবানদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কিন্তু টাকা খরচ করে যদি কোরবানি আদায় না হয় তাহলে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোনো কাজে আসবে না। কিছু ভুলের কারণে আমাদের অজানতেই কোরবানি হচ্ছে না।
বিশেষ করে কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একনিষ্ঠ নিয়ত। এই একটি জায়গায় গলদ থাকলে নিশ্চিতভাবে তা আল্লাহ কবুল করবেন না। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা থাকলে তা আল্লাহর দরবারে বাতিল হয়ে যাবে।
সহিহ বুখারির প্রথম হাদিস হলো ‘ইন্নামাল আমালু বিন নিয়্যাত, ওয়া ইন্নামা লিকুল্লিম্রি-ইম্ মা নাওয়া।’ অর্থ: নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল এবং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে যা সে নিয়ত করে। তার মানে কেউ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির চিন্তা বাদ দিয়ে সুনাম কামানোর নিয়তে বড় বড় পশু কোরবানি দেন তাহলে তার কোরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
এ ছাড়া হারাম টাকায় কোরবানি হবে না। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম ১০১৫)
পশুর বয়স শরিয়ত নির্ধারিত বয়সের কম হওয়া। উটের বয়স ৫ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স ২ বছর হতে হবে। ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বার বয়সও এক বছর তবে সংকটের সময় ৬ মাসের হলে সমস্যা নেই।
ত্রুটিপূর্ণ পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। হাদিসে এসেছে, চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট; পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ও আহত, যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কোরবানি হবে না। কিন্তু যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কোরবানি হয়ে যাবে।
এ ছাড়া জেনেশুনে হারাম উপার্জনকারীকে কোরবানির অংশীদার করলে অন্য শরিকদের কোরবানিও সহিহ হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরিক নির্বাচন করতে হবে।
Leave a Reply