ফুটবলের যেকোনো টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ গোল্ডেন বুট। বিশ্বকাপ থেকে মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট, যে কোনো আয়োজনেই গোল্ডেন বুট নিয়ে থাকে এক নিরব প্রতিযোগিতা। যেখানে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা পান এই সম্মানজনক পুরস্কার। ১৯৬০ সাল থেকে উয়েফা এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
সাধারণত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে দেয়া গয় গোল্ডেন বুট। যদি এক আসরে একাধিক ফুটবলারের সর্বোচ্চ গোল সংখ্যা সমান হয় সেক্ষেত্রে অ্যাসিস্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিকে (২০২০ নিয়ম অনুযায়ী) দেয়া হয় এই পুরস্কার। তবে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবার এই নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। জার্মানিতে চলমান ইউরাতে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে আছেন ছয় জন।
এবারের নিয়ম সম্পর্কে উয়েফা জানিয়েছে, রোববারের (১৪ জুলাই) ফাইনালে যদি এককভাবে কোনো ফুটবলার সর্বোচ্চ গোলে এগিয়ে যেতে না পারেন, তবে ছয়জনকেই গোল্ডেন বুট দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত চলতি আসরে ছয়জন সমান সংখ্যক সর্বোচ্চ ৩টি করে গোল করেছেন।
যদিও ওই তালিকরা ছয় জনের দুইজন আজ রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামবেন। তারা হলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন ও স্পেনের দানি ওলমো। এই দুজনের যেকোনো একজনের গোল্ডেন বুট জেতার সম্ভাবনা বেশি। তবে তারা যদি আজ কোনো গোল না পান, কিংবা দুজনই সমান গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন, তাহলে দুজনেই পাবেন গোল্ডেন বুট। আবার যদি কেউ গোল না পান তবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠবে ৬ জনের হাতে।
দুই ফাইনালিস্ট কেইন-ওলমোর সঙ্গে গোল্ডের বুটের দৌড়ে থাকা বাকি চারজন হলেন নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রাঞ্জ।
২০২০ সালের ইউরোতে গোল্ডেন বুট নিয়ে বিপাকে পড়ে আয়োজকরা। আসরটিতে টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ গোল ছিল একসঙ্গে দুজনের। পর্তুগালের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক পাঁচটি করে গোল করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত গোল্ডেন বুটের পুরস্কারটা পেয়েছিলেন রোনালদো। কারণ, পাঁচ গোলের সঙ্গে একটি ‘অ্যাসিস্ট’ও (গোলে সহায়তা) ছিল পর্তুগিজ তারকার, যা শিকের ছিল না। তখন উয়েফার নিয়ম ছিল গোলের সংখ্যা সমান হলে প্রথমে দেখা হবে কে বেশি গোলে সহায়তা করেছেন। গোলে সহায়তায়ও সমান হলে বিবেচনায় নেয়া হবে কে কম সময় খেলেছেন।
Leave a Reply