হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পরও ঘণ্টাখানেক জীবিত ছিলেন এক আরোহী!

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হলেও দুর্ঘটনার পর ঘণ্টাখানেক জীবিত ছিলেন একজন আরোহী। শুধু তাই নয়, তিনি সাহায্য চেয়ে দেশের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করেন। খবর বিবিসির।

ওই আরোহীর নাম মোহাম্মদ আলি আল-হাশেম। তিনি তাবরিজের জুমার নামাজের ইমাম এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ইরানি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ির প্রতিনিধি ছিলেন।

ইরানের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান মোহাম্মদ নামি বলেন, আল-হাশেম দুর্ঘটনার পর এক ঘণ্টার মতো বেঁচে ছিলেন। এমনকি দেশের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়েও যোগাযোগের চেষ্টা করেন তিনি।

এ ছাড়া হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্তের আগে রাইসির শেষ মুহুর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রয়েছেন রাইসি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তার অন্যান্য সফরসঙ্গীকে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।

রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে সোমবার তাদের হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধার দল। তবে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন।

নামি বলেন, নিহত আরোহীদের শনাক্ত করার জন্য কোনো ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ফ্লাইট ক্রুসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ায় বেশ কয়েকটি দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এসব দেশের তালিকায় ইরান যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পাকিস্তানের মতো দেশ। এ ছাড়া রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা শোক প্রকাশ করেছেন। ইরানের এই বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *